Sheikh Shahjahan Property Seized: সন্দেশখালির নেতা শেখ শাহজাহানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রায় ১৩ কোটির মত সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। কলকাতার জমি সহ মোট ১৪টি স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়া, অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে।
সরবেরিয়া, সন্দেশখালি, কলকাতায় বাড়ি সহ কৃষিজমি, মৎস্য চাষের জন্য ভেড়ি ইত্যাদি ১৪টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছে এই সংস্থা।
ED, Kolkata has provisionally attached movable and immovable assets worth Rs. 12.78 Crore in the form of 14 immovable properties in the nature of apartment, agriculture land, land for fishery, land and building etc. in Gram Serberia, Sandeshkhali and Kolkata and two bank…
— ED (@dir_ed) March 5, 2024
এদিকে মঙ্গলবারই সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শেখ শাহাজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ বিকেল সাড়ে ৪টের পর শাহাজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সমস্ত নথিও সিবিআইকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ খালি হাতেই ফিরতে হয় সিবিআইকে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকে হাতিয়ার করে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেনি রাজ্য পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তৃণমূল সরকার। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অবিলম্বে শুনানির দাবি করে। শাহজাহানকে নিয়ে জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। পাল্টা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে যেতে বলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।
গত ৫ জানুয়ারি ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় সিটের তদন্ত খারিজ করা হয় এদিন। ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দু'টি ও বনগাঁ থানার একটি তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সময়সীমা পেরোলেও শাহজাহানকে ইডির হাতে তোলা হয়নি।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশের পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পলাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। অভিযোগের ৫৫ দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ গত ৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন শেখ শাহজাহান ৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্যকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই ৷ পুলিশ তো বটেই, এমনকী ইডি, সিবিআই-ও গ্রেফতার করতে পারে সন্দেশখালির তৃণমূলের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানকে ৷ গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালিতে শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি ৷ সেখানে শাহজাহানের সন্ধান পায়নি ইডির তদন্তকারীরা ৷ উলটে আধিকারিকদের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা ৷ তাঁদের উপর মারধরের অভিযোগও ওঠে ৷ তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান শেখ শাহজাহান ৷