সামান্য লিপস্টিক-পারফিউমের লোভে সংসদের লগ-ইন আইডি দিয়ে দেন। নাম না করে কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মিত্রকে বিঁধলেন সুকান্ত মজুমদার। শনিবার কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে এমনটাই বললেন বালুরঘাটের সাংসদ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপরেই প্রশাসনিক সভা থেকে জনসভায় হুডখোলা গাড়িতে করে জনসভায় পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে, জনসভার সূচনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তখনই তৃণমূল সরকারকে একাধিক ইস্যুতে বিঁধলেন তিনি।
সুকান্ত বলেন, 'কৃষ্ণনগর শ্রীচৈতন্যের ভূমি। যে ভূমিতে কাজী কৃষ্ণনাম বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ প্রথম আন্দোলন করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে শ্রীকৃষ্ণনাম বন্ধ করা যাবে না, রোখা যাবে না। আজ বাংলায় ফের তেমন পরিবেশের তৈরির চেষ্টা করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, রামনাম নিলে নাকি অপমান করা হয়। আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীকে আপনাদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে।'
এরপরেই মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আজ ভাবতে অবাক লাগে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এখান থেকে একজনকে সাংসদ করেছিলেন। তাঁর নাম আমি বলতে চাই না। তিনি বলেন, মা কালী নাকি মদ খায়, আর মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে থাকেন। লজ্জা লাগে এমন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। আমি তীব্র ধিক্কার জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে, যে আপনি একজন সাংসদ একথা বলার পর আপনারা চুল করে থাকেন।'
এরপর সুকান্ত আরও বলেন, 'আজ ভাবতে অবাক লাগে, একজন সাংসদ সামান্য কিছু পয়সার লোভে, পয়সার লোভে, পাউডারের লোভে, বিদেশি কোম্পানির বিভিন্ন পারফিউমের লোভে তাঁর যে লগ-ইন আইডি, সাংসদের, সেটা অন্য লোককে দিয়ে দেয়। বিদেশ থেকে একজন সাংসদের লগ-ইন আইডিতে প্রবেশ করে। আজ সাংসদ এমন একজনকে, সাংসদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে, তারপরেও তাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। ভেবেছেন এখানে ৪০% এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট আছে বলে এখান থেকে জিতে যাবেন।'
সুকান্ত বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস এই পবিত্র মাটিকে অপবিত্র করেছে। যে মাটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মাটি, চৈতন্যদেবের মাটি, সেই মাটিতে এখন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, চোর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনা যায়। আর এই চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর উপর রেগে যান, খারাপ কথা বলেন।'
'আজ যে তৃণমূল নেতাটা জয় বাংলা, জয় বাংলা করে চিৎকার করে, তারও রক্তের ভিতরে নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ভ্যাকসিন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন,' এমনটাই বলেন সুকান্ত।