RG Kar Protest Doctors: আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি কর মামলায় এর আগের শুনানিতেও আদালত বলেছিল ডাক্তাররা কাজে ফেরার পর কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তারপরেও জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি থেকে সরে আসেননি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানাল, 'উল্লেখিত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকরা কাজে ফিরলে সেক্ষেত্রে কোনও ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে না।' কিন্তু এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এটাও জানান যে, 'সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে, সেক্ষেত্রে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হলে, সেক্ষেত্রে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।'
চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী জানান, মোট চিকিৎসকদের মধ্যে মাত্র ২% কর্মবিরতিতে আছেন। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'বাকিরা কাজে আছেন বলে ওঁরা করবেন না, এটা হয় না।'
চিকিৎসকদের শুরু থেকেই অন্যতম দাবি ছিল হাসপাতালে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবী। সেই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আশা করব চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।' তিনি আরও জানতে চান, 'আমরা মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?'
রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল গত ২৮ দিন ধরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে সাহস প্রদান করতে উদ্যোগ নিতে হবে। জেলা কালেক্টর ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য বিশ্রাম কক্ষ ও টয়লেটে এবং সিসিটিভি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিন রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল বলেন, '২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁরা কাজে ফিরছেন না। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। পুলিশের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। পুরো বিষয়টা অন্য রূপ নিচ্ছে। ৪১ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ১ জন তাঁর চোখ হারিয়েছেন। তাঁরা পুলিশকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন না।' এরপর পুলিশ স্টেটাস রিপোর্টের পেজ ৭৩ দেখতে অনুরোধ করেন কপিল সিব্বল। চিকিৎসকদের তরফের আইনজীবী জানান, 'পশ্চিমবঙ্গে কলকাতায় ১৭৩৭ হাসপাতাল নার্সিংহোমে ১৫,০০০ চিকিৎসক ডিউটিতে আছেন। ২০০ জন সিনিয়র চিকিৎসক কলকাতায় ডিউটিতে আছেন। শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকরা ডিউটিতে নেই। তাঁরা এখনও হুমকি পাচ্ছেন।'