Sandeskhali case CBI probe: সিবিআই তদন্তের বিরোধিতায় রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, সন্দেশখালি নিয়ে ৪৩টি মামলায় সিবিআই তদন্ত বহাল রাখল আদালত। এর আগে সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করল বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে জানতে চায়, 'রাজ্য কেন একজন মানুষকে বাঁচাতে চাইছে?'
চলতি বছরের শুরুতে সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তদন্তে যান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে যেতেই স্থানীয়দের একাংশ তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। পরে, গ্রামের মহিলারাও শেখ শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগে সরব হন।
শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আন্দোলনে নামে বিজেপি শিবির। দীর্ঘদিন তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সন্দেশখালি নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই চলতেই থাকে। এরই মধ্যে বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়, যা দেখিয়ে তৃণমূল পাল্টা দাবি করে যে, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ সাজানো। লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় সন্দেশখালি। এমনই আবহে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন এবং জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর কলকাতা হাইকোর্টই সন্দেশখালির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানে রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তই বহাল রাখল সর্বোচ্চ আদালত।