"দলের সঙ্গে সম্পর্কহীন ২ বিধায়ককে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল (TMC)। রেশন ও আবগারি ব্যবসা ঠিক রাখার জন্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন তন্ময় ঘোষ। তাঁদের মেইলে, স্পিডপোস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে", বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "২১৩ আসন জয়ের পরেও আরও আসন চায় তৃণমূল। তৃণমূল মনে করছে গোটা বাংলায় শুধু তারাই থাকবে, আর কেউ থাকবে না। পিসি-ভাইপো কোম্পানির এই প্রচেষ্টা কী করে বন্ধ করতে হয় তা আমার দেখিয়ে দেব।"
একইসঙ্গে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি নিয়ে এদিন ফের একবার সরব হতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, "মুকুল রায়কে (Mukul Roy) অসুস্থ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বৈঠকে হাজির থাকছেন না। আমরাই খরচ করব, আমারই হিসাব রাখব, আবরা আমরাই হিসাব পরীক্ষা করব। কাটমানি খ্যাত তৃণমূলের এটাই নিয়ম।"
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। তারপর থেকেই তৃণমূল দাবি করে আসছিল, বিজেপির (BJP) আরও বেশকয়েকজন বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অবশেষে বিগত কয়েকদিন বড়সড় ভাঙন দেখা গেল বিজেপিতে। গেরুয়া শিবির থেকে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিতে দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে। এরপেরই এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির।