বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি-র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রিজভি দাবি করেছেন, বাংলাদেশিরা কলকাতায় বাজার করতে না এলে নিউমার্কেটসহ একাধিক শপিংমল বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, তিনি বলেছেন, বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য কলকাতায় না এলে শহরের হাসপাতালগুলিও বন্ধ হয়ে যাবে।
রিজভি আরও বলেছেন, বাংলাদেশের নারীদের ভারতের তৈরি শাড়ি পরা উচিত নয়। তার পরিবর্তে টাঙ্গাইল বা খাদির শাড়ি পরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের কিছু মহল বাংলাদেশকে দখল করতে চায় এবং তারা কখনও বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।
শুভেন্দুর তীব্র প্রতিক্রিয়া
রিজভির মন্তব্যের পরই পাল্টা আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত সনাতনী সমাজের বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু। মিছিল থেকে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ আমাদের পুঁচকে জেলার মতো দেশ। আমরা তাদের উপর নির্ভরশীল নই।"
শুভেন্দু আরও বলেন, "রিজভি যদি সাহসী হন, তাহলে ইউনূস এক্সপোর্ট এবং ইমপোর্ট লাইসেন্স বাতিল করে দেখান।" তিনি রিজভির ব্যক্তিগত জীবনকেও আক্রমণ করেন। দাবি করেন, রিজভি যে রিংটি বুকে বসিয়েছেন সেটিও কলকাতার।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও বিতর্ক
রিজভির মন্তব্য ও শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া নতুন করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের তিক্ততা বাড়িয়েছে। রিজভি অভিযোগ করেন, ভারত থেকে ফেনসিডিল এবং ইয়াবার মতো মাদক বাংলাদেশে পাচার হয়। অন্যদিকে, শুভেন্দু ও বিজেপি নেতারা দাবি করেন, বাংলাদেশ তাদের সঠিক অবস্থান জানে না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ
রিজভির মন্তব্যকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, রিজভির এ ধরনের বক্তব্য জনসমক্ষে তার দল বিএনপি-র ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অন্যদিকে, শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপি-র ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করার কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।