ভারতের বিজেপি নেতা এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবারও বাংলাদেশকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং মন্দির ভাঙার প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "টাইট কীভাবে দিতে হয়, আমরা জানি।"
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে এবং সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ভাঙা অব্যাহত রয়েছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের হিন্দু জনসংখ্যা ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা এখন মাত্র ৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ, যেখানে হিন্দু, শিখ এবং জৈন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কার্যত শূন্যে নেমে এসেছে।
‘সিনেমা দেখানোর’ হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশে চিন্ময় প্রভুর মুক্তি এবং মন্দির ভাঙার ঘটনা বন্ধ না হলে নতুন বছরে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি না দিলে, মন্দির ভাঙা বন্ধ না হলে আমরা নতুন বছরে সিনেমা দেখাব।"
বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীলতার প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু আজ সেই দেশ মানবাধিকারের সীমা লঙ্ঘন করছে। তিনি বাংলাদেশের রাজাকারদের নাতিদের আক্রমণ করে বলেন, "পাকিস্তানের অবৈধ সন্তানদের ওপর আমরা নির্ভর করি না।"
তিনি আরও বলেন, " রাজাকারের নাতি, তোদের ওপর আমরা নির্ভর করি না। পাকিস্তানের অবৈধ সন্তান। আমাদের ওপর তোরা নির্ভর করিস। ভারত থেকে ৯৭টি পণ্য পাঠানো হয়, যা ছাড়া বাংলাদেশের ভাত-কাপড় জোটে না। আমরা বিদ্যুৎ না পাঠালে তাদের ৮০ শতাংশ গ্রামের আলো নিভে যাবে।"
মানবাধিকার দিবসে বার্তা
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আজকের দিনটি মানবাধিকারের জন্য উৎসর্গ করা হলেও, বাংলাদেশে মানবাধিকারের সীমা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। হিন্দুদের ধর্ম বা দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।”
প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে ছড়ানোর দাবি
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন যে সনাতনী সংগঠনগুলি সারা বিশ্বে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। তিনি হিন্দুদের অধিকার রক্ষা করতে ভারত সরকারকে কড়া অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।