scorecardresearch
 

Taslima Nasrin: তসলিমার 'লজ্জা' মঞ্চস্থে বাধা? মমতার সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ লেখিকার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে শিল্পীদের কন্ঠরোধের অভিযোগ তুললেন তসলিম নাসরিন। সম্প্রতি দুইটি নাট্যোৎসবে তাঁর লেখা উপন্যাস 'লজ্জা' থেকে অনুপ্রাণিত নাটক মঞ্চস্থ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এর প্রেক্ষিতেই এহেন দাবি বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকার। 

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে শিল্পীদের কন্ঠরোধের অভিযোগ তুললেন তসলিম নাসরিন(Taslima Nasrin)। সম্প্রতি দুইটি নাট্যোৎসবে তাঁর লেখা উপন্যাস 'লজ্জা' থেকে অনুপ্রাণিত নাটক মঞ্চস্থ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এর প্রেক্ষিতেই এহেন দাবি বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকার। 

তসলিমা তাঁর ফেসবুক পেজে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবরডাঙা নাট্যোৎসবে(Gobardanga) এবং হুগলির পান্ডুয়া নাট্যোৎসবে 'লজ্জা' মঞ্চস্থ করতে রাজ্য পুলিশ বাধা দেয়। তাঁর দাবি, আয়োজকদের বাধ্য করা হয় তাঁর নাটকটি অনুষ্ঠানসূচি থেকে বাদ দিতে। যুক্তি হিসাবে এতে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তিনি বলেন, 'দু'মাস যাবৎ বিজ্ঞাপন যাচ্ছে নাট্যউৎসবের। আর আজ, বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ এসে জানিয়ে দিল, সব নাটক মঞ্চস্থ হবে, শুধু লজ্জা ছাড়া। নবপল্লী নাট্যসংস্থা দিল্লিতে তিনবার নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। তিনবারই প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ ছিল।'

দেখুন তাঁর পোস্ট:

taslima nasrin
তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্ট।

 

আরও পড়ুন

তসলিমা নাসরিনের দাবির সমর্থনে সরব হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের উগ্রবাদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে যেটুকু পার্থক্য ছিল, সেটাও মুছে গিয়েছে। কারণ তিনি একটি জনপ্রিয় নাটক, যেখানে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, সেটা মঞ্চস্থ করতে দিচ্ছেন না, বলছেন এটা করলে অশান্তি তৈরি হবে।' আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, 'উনি(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের পুজোপাঠের স্থানে হামলা, মূর্তি ভাঙার ঘটনাগুলি উপেক্ষা করছেন, এদিকে যে বুদ্ধিজীবীরা তাঁর নীতির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের কন্ঠরোধ করছেন।'

BJP আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও এই বিষয়ে পোস্ট করেন। লেখেন, 'যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারেন এবং মুসলিমদের এতটাই ভয় পান যে, শিল্প, সংস্কৃতি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অবরুদ্ধ করতে হয়, তাহলে তাঁর ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত।'

Advertisement

গোবরডাঙা নাট্যোৎসবের আয়োজকরা সাংবাদিকদের জানান যে, 'লজ্জা' নাটকটি সত্যিই সূচি থেকে বাদ দিতে হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা। 

রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরাও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রশাসনিক নির্দেশ কী ছিল, আদৌ প্রশাসনের এতে কোনো ভূমিকা ছিল কিনা, তাই নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি তাঁরা।

Advertisement