বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে বিজেপির বর্ষীয়াণ নেতা তথাগত রায় এবং অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের মধ্যে। সম্প্রতি সায়নীর একটি মন্তব্য নিয়ে টুইট যুদ্ধ শুরু হয় দুই অসম বয়সীর মধ্যে। পরবর্তীতে তথাগত 'ক্ষ্যামা দে মা' আর্জি জানালেও 'ক্ষ্যামা' দিলেন না কেউই। পাঁচ বছর আগের সায়নীর একটি টুইট নিয়ে ফের বিতর্ক বাড়িয়ে তোলেন তথাগত। এমনকী অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এফআইআরও। যদিও বিতর্কিত ওই টুইটের দায় এড়িয়ে পোস্টটি ডিলিট করে দেন সায়নী।
২০১৫ সালে সায়নীর টুইটার থেকে পোস্ট করা ছবিটি ভাইরাল হয়। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে শিবরাত্রী পালন করতে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরাচ্ছেন বুলাদি। মূলত ওই কার্টুনটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে এইডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য।পরে সেই ছবিটি ব্যবহার করা হয় শিবরাত্রীর উৎসবকে কটাক্ষ করতে। যা পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী।
এদিকে, সায়নীর পাঁচ বছর আগের করা পোস্ট টেনে হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা নষ্ট করেছে বলেই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল।
যদিও,এরপরই সাফাই দেন সায়নী। তিনি জানান যে নিজের ধর্মকে কোনওভাবে আঘাত করতে চাননি। অভিনেত্রী এও দাবি করেন, ২০১৫ সালে টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। সেই সময় এই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। পরে যখন নজরে আসে তখন তিনি টুইটটি ডিলিট করেন।
এসব কি আবোলতাবোল লিখেছে ? তাও আবার রোমান হরফে ! @anirbanganguly @abhbasak https://t.co/4JG4MZyq20
— Tathagata Roy (@tathagata2) January 15, 2021
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচন প্রাক্কালে বাগযুদ্ধের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এবারের লড়াই অবশ্য দুই অসমবয়সীর। মঞ্চ টুইটার। ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এবং অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের টুইট যুদ্ধে রীতিমত সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। অভিনেত্রীকে 'মূর্খের' তকমা যেমন দিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা, তেমনই পাল্টা দিয়েছেন সায়নীও। তথাগত রায় 'একটা জিনিস', এই সুরেই তোপ দাগেন অভিনেত্রী।
পরবর্তীতে টুইট যুদ্ধ পৌঁছে যায় ব্যক্তিগত আক্রমণে। সায়নীর ইংরেজি হরফে বাংলা লেখার (যাকে ‘রোমান’ বলা হয়) প্রবণতা পছন্দ হয়নি বিজেপি নেতার। তাকে ‘আবোল তাবোল’ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন তথাগত। অন্যদিকে, ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপালের ‘সামাজিক ও মানসিক সংকীর্ণতার’ পরিচয় পেয়ে হতাশ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আপনার মতো জিনিস সত্যিই পশ্চিমবাংলার মানুষের কাম্য নয়’।