এসএসসি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশের মধ্যেই চাকরিতে নিয়োগের সুখবর মিলল। আগামী ২ মাসের মধ্যে ৮০০ জনকে প্রাথমিকে চাকরি দিতে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলাকারী সবাইকে চাকরি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদের নথি যাচাই করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৫ বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০ জন প্রার্থী। বাম আমলে শুরু হয়েছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।
অন্য দিকে, চলতি সপ্তাহে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন দিতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৮১ পৃষ্ঠার রায় পড়ে শোনান বিচারপতি বসাক।
রায়ে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই বেতন ফেরত মিলেছে কিনা তা ৬ সপ্তাহের মধ্যে দেখার নির্দেশ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনেক ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র এখনও এসএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। সেগুলি দ্রুত আপলোডের নির্দেশ। একমাত্র সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রাখল হাইকোর্ট। এসএসসি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। যাঁকে প্রয়োজন, তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা। পুনর্মূল্যায়নের পর নতুন প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ। এসএসসিকে টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।