প্রাণে বাঁচতে চাইলে দিতে হবে ২০ লক্ষ টাকা, নয়তো তপন কান্দুর মতো খুন করা হবে তাঁকে ও তার পরিবারকে। বাঘমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতোর উদ্দেশ্যে পড়ল এমনই হুমকি পোস্টার। ওই হুমকি পোস্টারে একাধিক ব্যক্তির নাম ও ফোন নম্বর রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।
সোমবার বিকেলে এলাকাবাসীর নজরে আসে পোস্টারগুলি। পোস্টারে লেখা ছিল, 'যদি প্রাণে বাঁচতে চান তাহালে আমাদের ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে আপনি ও আপনার পরিবারকে গুলি করবো। আপনি যখন কংগ্রেস পার্টির সভা করবেন, তখন গুলি করে মারবো সবার সামনে। নইলে তপন কান্দুর মতো আপনিও গুলি খাবেন। তপন কান্দুকে আমি ও আমার জামাই দা গুলি করেছি। পুলিশ আমাদের হাতে ছিল। আমাদের অনেক টাকার দরকার। হেঁসলা শিব মন্দিরের পাশে এনে দেবেন। নইলে আপনার পরিবারের কেউ জীবিত থাকবে না। তপন কান্দুকে আমরা টাকা চেয়েছিলাম, যখন না বলল, তখন আমরা গুলি করি। পনেরো দিনের মধ্যে টাকা না দিলে আপনাকে আমি গুলি করব। আমার জানা আছে আপনার পরিবার কোথায় কোথায় থাকে। আমাদের সাত দিনের মধ্যে টাকা না দিলে গুলি করতে আসবো। চিঠিটা নেপালকে দিয়ে দেবেন যে পাবেন'। চিঠির শেষে কুমুদ চৌধুরী, সুকুমার নাপিত, সাবিত্রী কুইরি ও সঞ্জয় কুইরি বলে ৪ জনের নামও রয়েছে। দেওয়া রয়েছে ২টি ফোন নম্বরও।
এই ঘটনার পরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার জেলা রাজনীতিতে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতো। ঘটনায় গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের দাবি জানান নিহত তাপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনাকে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বর্তমানে সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন - কঠিন ৫ রোগের 'কাল' এই পাতা, সেবন করুন নিয়ম মেনে