সারা রাজ্যের মত এবারের পুরভোটে উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও দেখা গিয়েছে সবুজ ঝড়। বনগাঁ পরসভা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই রাতেই এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাপের বাড়িতে উঠল হামলার অভিযোগ। ভোটের ফল ঘোষণা রাতে কংগ্রেস প্রার্থীর বাবার বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বনগাঁ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন দেবজানি চাট্টোপাধ্যআয় তার বাবা একসময় ছিলেন বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস মুখোপাধ্যায়। তাপসবাবু একসময় তৃণমূলেই যুক্ত ছিলেন। এখন বয়সজনিত কারণে তাঁকে সেভাবে রাজনীতির ময়দানে পাওয়া যায় না।
অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে বনগাঁ হাই স্কুল মোড়ে তাপস খোপাধ্যায়ের বাড়ির নীচে কয়েকজন যুবকে কথা বলতে দেখেন তিনি। ওই যুবকদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই তাকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি শুরু করে। তাঁকে নিচে নেমে আসতে বলে যুবকেরা। তারপরেই কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান তাপস বাবু। সকালে বাড়িতে তিনটি গুলির খোল, একটি তাজা গুলি দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ । কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেই বিষয়ে তাপস মুখাপোধ্যায় কিছু বলেননি । ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
গভীর রাতে দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। দেবজানি চট্টোপাধ্যায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণা ঘোষণার দিন রাতেই বাড়িতে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ দেবযানীর। দেবজানি অভিযোগ অনুযায়ী ভোটের দিন শাসক দলের প্রার্থীর সঙ্গে অশান্তি হয় তাঁর। শাসক দলের পক্ষ থেকে তাকে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। তারপর থেকেই তিনি নানা রকম আশঙ্কার মধ্যে ছিলেন। তাঁর স ঙ্গে কারো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। মত দেবযানীর। এ বিষয়ে তিনি বলেন "সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গেই আমি সদ্ভাব রেখে চলি কিন্তু ভোটের দিন থেকেই অশান্তি সৃষ্টি হয়, তারপর থেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি আমি।"
বনগাঁ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল শেঠ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কি বা কারা করেছে সেটা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। শান্ত বনগাঁ কে কোনভাবেই অশান্ত করতে দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বন্দনা মুন্সি, তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দীপ্তি সরকারকে ৩১৪ ভোটে পরাজিত করেন। বন্দনা পান ১৯১৮ টি ভোট, বিজেপির দীপ্তি পান ১৬০৪ ভোট, সিপিআইএম প্রার্থী শিবানী ধর পান ৭০৮ টি ভোট, সেখানে চতুর্থ স্থানে থাকা দেবযানী পান ২৪১ টি ভোট।