বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ। ঘটনার পরপরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তবে এরপরেও তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করতে ছাড়লেন না শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, 'এরা সব ছাপ্পা মারা কাউন্সিলর। মানুষের ভোটে জেতা কাউন্সিলর নয়। তৃণমূল মানেই টাকা, টাকা, টাকা।'
অভিযোগ, দেবব্রত দে নামে এক ব্যবসায়ীকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেছিলেন মিলন সর্দার। এর আগে এই মামলায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মিলনকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার দলের পক্ষ থেকে এই বহিষ্কারের বিষয়ে জানান।
সিআইডি সূত্রে খবর, দেবব্রত দে নামের ওই ব্যবসায়ী আগে ত্রিপুরায় থাকতেন। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাঁকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের জন্য দুই দফায় অপহরণ করা হয়। খড়দার একটি আবাসনের পার্কিং লট থেকে অস্ত্র দেখিয়ে দেবব্রতকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। দেবব্রত সেখানে এক পরিচিতের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময়ই এই অপহরণ ঘটে। অপহরণের পর তাঁকে বারাসাতের একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়।
খড়দহ থানার প্রাথমিক তদন্তের পর এটি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিআইডি-র স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দারা দ্রুত অভিযান চালিয়ে বারাসাতের ফ্ল্যাট থেকে দেবব্রতকে উদ্ধার করে। ওই অভিযানেই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা সকলে অপহরণ চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে সিআইডি দাবি করেছে। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্মীও ছিলেন।
তদন্ত চলাকালীন সিআইডির নজরে আসে বারাসাত পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দারের নাম। বৃহস্পতিবার, সিআইডি তাঁকে বারাসাত থেকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার পরপরই তৃণমূল কংগ্রেস মিলনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলীয় নেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে তুলোধনা করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।