নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোমবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা মুখ খোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দ্বন্দ্ব নেই, বোঝাতে গিয়ে যেন ক্রমেই মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্যের পাহাড় তৈরি হচ্ছে। এবার তাই নিয়েই মুখ খুললেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার কথায়, 'আমি তো আগেই স্পষ্ট করে বলেছিলাম তৃণমূল দলের অন্তদ্বন্দ্বে, দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন একটা রাজনৈতিক দল।' তিনি বলেন, 'দুর্নীতির ক্যান্সার, সেই ক্যান্সারে আক্রান্ত তৃণমূলের জন্য বাঁচার কোন অ্যানসার নেই। তৃণমূল পার্টির বাঁচার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তৃণমূল পার্টির পতন দ্রুত গতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে।'
এদিকে অধীরের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল। সরাসরি বললেন, 'অধীর চৌধুরি নিজেই বিজেপির লোক।' এমনকি বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, 'বিজেপির দুই ভাইয়ের একজন কংগ্রেস।' কুণাল বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ সমর্থন করে। যে পার্টিগুলির মধ্যে গণতন্ত্র নেই, তারাই এই নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এরা তো তৃণমূলে ডুবে আছে। বিজেপি, সিপিএম কংগ্রেস এখন তৃণমূল নিয়েই ব্যস্ত। তৃণমূল এক এবং ঐক্যবদ্ধ।'
এদিন সাংবাদিকদের সামনে ফের নবীন-প্রবীণ ইস্য়ু নিয়েও কথা বলেন কুণাল। এই বিষয়ে দলের স্ট্র্যাটেজি ব্যাখা করে কুণাল বলেন, 'যাঁরা সিনিয়র তাঁদের অবশ্যই স্থান থাকবে। একটা পরিবারে কী হয়, যাঁরা মেনটালি ফিজিকালি ফিট আছেন,তাঁদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকে। আবার নবীনদের সেরকম কাজ থাকে। তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক। সুব্রত বক্সীর মতো সিনিয়রও আছেন।'
কুণাল বলেন, 'তৃণমূলে গণতন্ত্র আছে। আবার ঐক্যবদ্ধ লড়াইও আছে। তৃণমূলে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। এখানে প্রথম ও শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবীণ-নবীন লড়াই তো বিরোধীদের ট্র্যাডিশন।'
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন পাল্টা কটাক্ষ করেন কুণাল। তিনি বলেন, 'শীতকাল। স্কিনে প্রবলেম হচ্ছে। ভেসলিন মাখুন শুভেন্দু। কোথায় কে ডিজি হয়েছে। কে স্বরাষ্ট্রসচিব হয়েছে। ওঁর সহ্য হচ্ছে না। শীতকালে কারও কারও স্কিনে প্রবলেম হয়। তাই এই সময়ে ভেসলিন, ঠিকঠাক সাবান মাখুক। ঠিক হয়ে যাবে। এত কোটি টাকা তুলেছে, লুট করেছে, একটু সাবান কিনে মাখতে পারবেন না?'