লোকসভা নির্বাচনে দলের ৪৮ জন প্রার্থীকে ৭৫ লক্ষ করে টাকা দিয়েছিল তৃণমূল। ওই প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, শত্রুঘ্ন সিনহারা। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীদের অর্থ প্রদানে দলে খরচ হয়েছে মোট ৩.৬০ কোটি টাকা। নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এই বিবৃতি ভোটের ফল প্রকাশের পর গত ৭ জুন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ছিল একের পর এক চমক। লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার জোড়াফুল প্রতীকে লড়ে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের মতো তারকরা। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন অভিষেক। বাংলার পাশাপাশি, অসম, মেঘালয়েও প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল।
অন্য দিকে, বাংলায় এবার লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। মাত্র ১২টি আসন দখল করতে পেরেছে পদ্ম শিবির। ১টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের।
তৃণমূলের পাশাপাশি দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি বা আপেরও নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দলের ৩ জন প্রার্থীকে ৬০ লক্ষ করে টাকা দিয়েছিল আপ। ওই ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২ জন দিল্লির এবং ১ জন গুজরাটের। দলের সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে মোট ৫৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিল এআইএমআইএম।
২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনে প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী খরচের সীমা বাড়ানো হয়। লোকসভা নির্বাচনে এই খরচের সীমা ৭০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে এই খরচের সীমা ২৮ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।