Dev: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী 'গদ্দার', মানতে নারাজ ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেব। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি মনে করি না আমাকে মঞ্চে উঠে গদ্দার বলতে হবে।" পাশাপাশি এ-ও বলেন, "ওই মানুষটি আমাকে ২০১৪, ২০১৯-এ এলাকা ঘুরিয়েছিল। এখন যেমন হিরণকে নিয়ে ঘুরছেন। আমার নির্বাচন ফান্ড করেছে। আমি আজ লোকটাকে দেখে চিনতেই পারব না এটা হয় না। বিরোধী প্রার্থী হিসাবে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করতে হবে। আমি মনে করি, যদি তুমি কাজ করে থাকো, তাহলে কাউকে আক্রমণ করতে লাগে না।"
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য রাজনীতির হাওয়া বদলেছে। শুভেন্দুর দলবদলের পর রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। বিরোধী দলনেতা হিসেবে মমতার বিপরীতে শুভেন্দুকে প্রার্থী করা হয়। ঐতিহাসিক নন্দীগ্রাম থেকেই শুভেন্দুর কাছে হারতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকেই অধিকারী পরিবারকে নিজের বাক্যবাণে বেঁধেন মমতা ও তাঁর দল। শুভেন্দুকে বারংবার 'গদ্দার' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তবে তাঁরই দলের বিদায়ী সাংসদ, নেতা তথা অভিনেতা দেব কার্যত এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরতই থেকেছেন।
কিছুদিন আগে এক প্রচার মঞ্চে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকেও 'গদ্দার' বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে এক সংবাদ চ্যানেলে দেব বলেন, "আমার এই শব্দগুলিতেই আপত্তি রয়েছে। দিদির পাশাপাশি, মোদির 'দিদি ও দিদি' ফুটেজটাও দেখানো হোক। এই ইভটিজিংটা গোটা দেশ জুড়ে চলছে। সে দিদি হোক বা দাদা, যখন হাজার হাজার মানুষ বক্তব্য শুনছেন কারও, তখন এই ধরনের শব্দ ব্যবহার না করাই ভাল। এই শব্দ, আচরণ, ব্যবহারের বিরুদ্ধে।"
পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেছিলেন, "মিঠুনদার যদি শরীর খারাপ হয় আর কিডনি লাগে, আমি আমার কিডনি মিঠুনদাকে দিয়ে দিতে পারি। আর পরাণদা যদি অসুস্থ হন, ওনার রক্তের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি আমার শরীরের সমস্ত রক্ত দিয়ে দিতে পারি। এর চেয়ে বেশি ভাল ভাবে আমি এই দুজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে পারতাম না।"
শুভেন্দু প্রসঙ্গে দেব মুখ না খুললেও, শুভেন্দু কিন্তু গরু চুরি মামলায় তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “এনামুলের টাকায় দেব যে সিনেমা করেছেন, এটা তো প্রমাণিত সত্য। দেব একবার নিজাম প্যালেসে গিয়েছেন।” তবে এসব মন্তব্যের পরেও রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রেখেছেন তিনি।