scorecardresearch
 

Sandeshkhali Issue: সন্দেশখালিতে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ দায়েরে বাধ্য করা? রেখার বিরুদ্ধে কমিশনে যাচ্ছে TMC

সন্দেশখালি ইস্যুতে জাতীয় মহিলা কমিশেনর চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চলেছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের 'মিথ্যে ধর্ষণ' মামলা দায়ের করতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা বলেন, "জাতীয় মহিলা কমিশেনর চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।" তাঁর আরও দাবি, "তিনি রাজনৈতিক সিগন্যাল পেয়েছিলেন বলে এখানে এসে বিষয়টিকে উৎসাহিত করেছিলেন।"

Advertisement
সন্দেশখালি ইস্যুতে রেখা শর্মার বিরুদ্ধে রেখআ শর্মা সন্দেশখালি ইস্যুতে রেখা শর্মার বিরুদ্ধে রেখআ শর্মা

Sashi Panja on Sandeshkhali Issue: সন্দেশখালি ইস্যুতে জাতীয় মহিলা কমিশেনর চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চলেছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের 'মিথ্যে ধর্ষণ' মামলা দায়ের করতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজা বলেন, "জাতীয় মহিলা কমিশেনর চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।"

শশী পাঁজা আরও বলেন, 'রেখা শর্মার নাম করেছেন একজন মহিলা। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবো। অনেক মানুষ এগিয়ে এসে বলছে বিজেপি এত তলানিতে যেতে পারে? একজন মহিলা, সেই গ্রাম,  সেই ব্লক, সেই রাজ্যকে বদনাম করল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে আছেন যারা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছেন। শুধু মহিলাদের ব্যবহার করিয়ে ধর্ষণ করিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক সিগন্যাল পেয়েছিলেন বলে এখানে এসে বিষয়টিকে উৎসাহিত করেছিলেন। কমিশনের এই পক্ষপাতিত্ব খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এবার তাঁর দুর্ভাগ্যও আরম্ভ হবে। এছাড়াও যারা বিজেপিকে সমর্থন জানান সবার নোংরা খেলা খুলে দেব।' 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যেন ক্ষমা চান, এই অপেক্ষা করছি আমরা', বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির এক মহিলা ও তাঁর শাশুড়ি কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেন। তাঁদের দাবি, জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশে সাদা কাগজে তাঁদের সই করানো হয়। সেই কাগজেই ধর্ষণের অভিযোগ লেখা হয়। 

আরও পড়ুন

সংবাদমাধ্যমকে ওই মহিলা ও তাঁর শাশুড়ি জানান, তাঁদের জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়। দিল্লির মহিলা কমিশনের নির্দেশে ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে হয়। ওই দুই মহিলা এদিন নতুন করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগে তাঁদের দাবি, যেহেতু তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাই তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার ওই মহিলা ও শাশুড়ির বিবৃতি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করা হয়। তিনি বলেন, "আমরা কোনও রকম মিথ্যে অভিযোগের সঙ্গে জড়াতে চাই না। আমাদের প্রতিবেশীরা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কথা বলছে না। আমি ওদের মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বললে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।"

Advertisement

মহিলার আরও দাবি, তাঁকে ও তাঁর শাশুড়িকে দিয়ে যে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল, সেই কাগজে আসলে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ। তিনি বলছেন, 'কিছু ঘটেনি। পুরোটাই সাজানো, মিথ্যে অভিযোগ। আমরা কোনও মিথ্যে অভিযোগের সঙ্গে জড়াতে চাই না।'  তাঁদের দাবি, জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশে সাদা কাগজে তাঁদের সই করানো হয়। সেই কাগজেই ধর্ষণের অভিযোগ লেখা হয়। 

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির একের পর এক ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে বিজেপি-র ভূমিকা নিয়ে বিজেপি-রই এক স্থানীয় ব্লক সভাপতির বক্তব্যের ফুটেজ ভাইরাল হয়।  যদিও ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও-টির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এবার দুই মহিলার দাবিতে নয়া বিতর্ক শুরু হয়।

Advertisement