আরজি কর মেডিক্যালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। নিজের বাড়িতে আটকে রেখে এক তরুণীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সোনামুখী ব্লক সভাপতি। ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ছাড়া পেতেই পরিবারকে নিয়ে থানায় যান তরুণী। অভিযোগ দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে সোনামুখী থানার পুলিশ।
দলের নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায়, স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলার শাসকদল। ওই নেতাকে সংগঠনের পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তকে পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত অভিযুক্ত। দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র সোনামুখী ব্লকের সভাপতি পদে থাকার পাশাপাশি ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ করা হয়।
অভিযোগ,গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় পূর্ব পরিচিত এক তরুণীকে নিজের ঘরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। দ্রুততার সাথে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশ এমন ঘটনার সাথে যুক্ত। আপাতত লোকদেখানো অভিযুক্ত সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। কিন্তু আবার দু'সপ্তাহ পরে ওই অভিযুক্তই দলের পতাকা নিয়ে ঘুরবেন।