তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলেরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদের যে মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলের অন্দরেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কল্যাণকে নিশানা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। আক্রমণ করেছেন দলের আরও এক সাংসদ সৌগত রায়। এই প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কী বলেছেন কুণাল?
বৃহস্পতিবার তৃণাঙ্কুর ইস্যুতে কুণাল বলেছেন, 'এটা তৃণমূলেরই স্ট্র্যাটেজি নয় তো! তৃণমূলই বাজার দখল করে আছে। আজ এ একটু বলে দিল, ও একটু... ভোটের সময় এরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে আনবেন। ভোট এলে মিলিয়ে নেবেন।'
প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে টিএমসিপির বেশ কয়েক জন নেতাকে বিভন্ন অভিযোগে 'বহিষ্কারের' ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সম্প্রতি কল্যাণ তোপ দেগেছেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। শাস্তির মুখে পড়া ওই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াননি তৃণাঙ্কুর, তাই নিয়েই সরব হয়েছেন কল্যাণ। ডোমজুড় উৎসবে কল্যাণ বলেছেন, 'দলের দেখা উচিত, কেন এঁরা টিএমসিপি-র সভাপতি হয়ে থাকবেন। কার আশীর্বাদ এঁদের মাথার উপরে আছে যে, এখনও এঁরা সভাপতি আছেন? সব পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।'
শ্রীরামপুর সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরেই সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কল্যাণকে আক্রমণ করেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এক সংবাদমাধ্যমে মদন বলেছেন, 'কে কল্যণ বন্দ্যোপাধ্যায়? খায় না মাথায় দেয়? উল্টো-পাল্টা ভাট বকে, হাউ হাউ করে। জীবনে মামলা জিততে পারে না। সব কেস গিয়ে ঘেঁটে দেয়। কলকাতা হাইকোর্টে যতবার দাঁড়িয়েছে হেরে চুর হয়ে গেছে। এমনও হয়েছিল যে কোর্টে কল্যাণ দাঁড়িয়েছিল বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে বসেছিলেন। তাতেও হেরে গিয়েছিল কল্যাণ। তৃণাঙ্কুর থাকবে কি থাকবে না সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবে। উনি কে?' সরব হয়েছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ও। বলেছেন, দলের বিষয়ে কল্যাণের প্রকাশ্যে সমালোচনা আদৌও সমীচীন নয়।
কল্যাণের মন্তব্য প্রসঙ্গে এর আগে bangla.aajtak.in-কে তৃণাঙ্কুর বলেছিলেন, 'সময় হবে যখন প্রতিক্রিয়া দেব। আমি এই বিষয়টিকে এত গুরুত্বই দিচ্ছি না। দলকে কিছু এখনও জানায়নি। সবাই সব কিছু জানে। আমি ম্যাচিওর রাজনীতিবিদ, ছাত্র রাজনীতি করি। আমার এই সব ভাবার কিছু নেই। আমার সম্পর্কে কল্যাণবাবু কেন এই ধরনের কথা বললেন, সেই বিষয়টি নিয়েও ভাবছি না। এই সব কথার গুরুত্বই দিচ্ছি না আমি।'