রাজ্যে ফের এক তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি সন্দেশখালি দু'নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যোতিষপুর গ্রামের। জানা যাচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন উত্তেজনা ছড়িয়েছে জ্যোতিষপুর গ্রামে।
জানা যাচ্ছে, উদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যোতিষপুর গ্রামের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বর্তমানে এনআরজিএস-এর সুপারভাইজার ছিলেন প্রদীপ নায়েক (৪৫) । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ির জানালা দিয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রদীপ নায়েকের কান ও চোয়ালে গুলি লাগে। তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রদীপ নায়েকের খুনের ঘটনায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ কেন তাঁকে এইভাবে খুন করা হয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে তিনি তৃণমূলের দাউদপুর পঞ্চায়েতের জ্যোতিষপুর গ্রামের বুথ কমিটির সভাপতি ছিলেন৷ বর্তমানে এলাকার একশো দিনের কাজের প্রকল্পের সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করছিলেন৷ তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ রাজনৈতিক কারণে এই খুন নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অতীতের খুনের ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি রবিবার রাতে জানলা খুলে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন৷ ওই খোলা জানলা দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা৷ তার মধ্যে একটি গুলি লাগে তাঁর কানে, অন্যটি চোয়ালে৷ গুলির শব্দে পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপ বাবুর ঘরে আসে৷ পরিবারের উপস্থিতি বুঝতে পেরেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে পারিবারিক বিবাদে একজন খুন হন। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। দেড়মাস জেলেও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সদ্যই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপরই তাঁকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে । খুনের তদন্ত শুরু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ ।