সন্দেশখালি মামলায় নয়া মোড়। শনিবার সন্ধ্যায় ন্যাজাট এলাকা থেকে তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এলাকার এক মহিলা আদালতে গোপনে জবানবন্দি দেন। এরপর সন্দেশখালি ঘটনার তদন্তে গঠিত বিশেষ টিম শিবপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতার করে। সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার মামলা ছিল।
শেখ শাহজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল সন্দেশখালির প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের। সন্দেশখালির এক মহিলা আদালতে এক গোপন জবানবন্দি দেন। এর প্রেক্ষিতেই পুলিশ গণধর্ষণের ধারা ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে।
এর আগে অপর অভিযুক্ত। উত্তম সর্দারও গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে আছেন তিনি।
এলাকায় শাহজাহান অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন শিবপ্রসাদ হাজরা। শনিবার শাহজাহান অনুগামীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। শনিবার সন্দেশখালি পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিজিপি রাজীব কুমার। এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে গণধর্ষণের ধারা দেওয়া হয় বলে জানান ডিজি। কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ারও আশ্বাস দেন। আর তার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত শিবপ্রসাদ হাজরাকে। শনিবার সন্ধ্যায় ন্যাজাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ডিজিপি রাজীব কুমার জানান, 'গত পরশু আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে, এছাড়া কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। আমরা সকলের বিরুদ্ধে সমস্ত ব্যবস্থা নেব। এমন নয় যে কাউকে ধরা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও অধরা।