দলে অস্বস্তির হাওয়া যেন ক্রমে বেড়েই চলেছে। যে হারে ঘাসফুল শিবির ত্যাগের ঘটনা পরপর সামনে আসছে তা নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দলে। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী-শিলভদ্রদের নিয়ে কম অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি দলকে। এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও চরম বিতর্ক দানা বাধে দলে৷ মঙ্গলবার সেই শোভনের বাড়িতেই হাজির হলেন তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।
বঙ্গ দখলের লড়াইয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবার যে বিজেপির লক্ষ্য সে হিসেব স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে। এই আবহে দীপক হালদারের শোভনের বাড়িতে আসা মোটেও শোভনীয় চোখে দেখছে না তৃণমূল। এদিন উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের। যদিও এই সাক্ষাৎ কেবলমাত্রই সৌজন্যে সাক্ষাৎ, এমনটাই জানান হয়।
অন্যদিকে, বিজেপি যোগের কোনও বিষয় আছে কি না সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে দীপক হালদার জানান, ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই শোভনের কাছে এসেছিলেন তিনি। বিধায়কের কথায়, 'শোভনবাবুর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই আমার পরিচয়। তাই দেখা করতে এসেছিলাম। এই সাক্ষাতের সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই।'
যদিও ডায়মন্ড হারবারের বিধায়কের এমন সাক্ষাতে জোর জল্পনাও শুরু হয়েছে। জেপি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে নিশানা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পদ্ম ফোটানোর। সেই কাজই কি শুরু হচ্ছে? বিজেপিতে সম্প্রতি পদও পেয়েছেন শোভন-বৈশাখী৷ কিন্তু বিজেপির মেগা র্যালিতে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়েও জলঘোলা হয় মঙ্গলবার৷
সূত্রের খবর, শোভনের এই র্যালি ও সভায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক, কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই আবহে দীপক হালদারের এই শোভনের বাড়ি হাজিরের ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।