বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)। দলেরই নেতাদের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় ভরতপুর (Bharatpur) বিধানসভা কেন্দ্রের সালার (Salar) বাজারে বিজয়া সম্মিলনীর (Bijoya Sammelani) অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বিধায়ক হুমায়ুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা এবং ব্লক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে দলেরই একাংশকে নিশানা করে তোপ দাগলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কারও নাম না করে হুমায়ুন বলেন, ‘'এক সময় অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) কিচেন রুমের সদস্য ছিলাম। এখন যারা ক্ষমতা দেখাচ্ছেন, তাঁরা ওই বাড়ির সামনে তৃতীয় সারিতে বসে থাকতেন। তাঁদের কেউ যদি এখন যদি পাঙ্গা নিতে আসে বহরমপুরে এমন তাড়া করব যে পালানোর পথ পাবে না। যারা যারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে, তারা যেন তাঁদের গুরুর কাছে খোঁজ নিয়ে নেয় যে হুমায়ুন কবীর কী জিনিস।'
আরও পড়ুন: Firozabad Mentally Unwell Woman: পায়ে শিকল পরে ৩৫ বছর একই ঘরে বন্দি মহিলা, মুক্তি পেলেন কীভাবে ?
তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য,, হুমায়ুনের নিশানায় ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ তথা মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান (Abu Taher Khan)। নবাবের জেলায় কান পাতলে শোনা যায় যে আবু তাহেরের সঙ্গে হুমায়ুনের ঝামেলা দীর্ঘ দিনের। ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব এখন চরমে পৌঁছেছে।
তাঁর নাম না করলেও হুমায়ুনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আবু তাহের খান বলেন, 'দলের শৃঙ্খলা ভেঙে কেউ কিছু বললে দল তার দায় নেবে না। হুমায়ুন কবির কখন কী বলেন, কার বিরুদ্ধেই বলেন, তিনি নিজেই জানেন না।'
এদিকে, তৃণমূলের অন্দরে এই ফাটল নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলা কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, হুমায়ুন কবির নিজেই স্বীকার করছেন যে তিনি কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। এর মানে দাঁড়াল যে তিনি এখন কোনও মতে তৃণমূলে রয়েছেন। তৃণমূলের মধ্যের এই লড়াইয়ে আমাদের শুভেচ্ছা রইল।'