আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সোমবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নির্মলকে প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিহত তরুণী চিকিৎসকের দেহ সৎকারে তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নির্মলের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। সেই কারণেই তাঁকে সোমবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছিল কি না, তা নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
নির্মল বলেন, '৯ আগস্ট যেদিন তিলোত্তমার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হল সেদিন তাঁর বাবা-মা কাউকেই একথা (দেহ সংরক্ষণ করার কথা) বলেননি। তাঁরা যদি বলতেন যে তাঁদের মেয়ের দেহ সংরক্ষণ করতে চান, বা আমরা আবার ময়নাতদন্ত করতে চাই...কিন্তু সেদিন কাউকেই তাঁরা এ কথা বলেননি।' তিনি আরও বলেছেন, 'সাধারণ মানুষ চায় যারা ধর্ষক, যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি হোক। আর রাজনৈতিক নেতারা চাইছে এই ঘোলা জলে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে। তবে আমি কিন্তু বিচারের দাবি থেকে সরব না।' তিনি এ-ও বলেন, 'নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলাম।'
আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তিলোত্তমা আমার এলাকার বাসিন্দা এবং আমার উল্টোদিকেই একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। ওই ঘটনার পর তাঁর বাড়িতে যাই। আমি ঘটনাস্থলেও যায়নি বা যেখানে পোস্টমর্টেম হয়েছে সেখানেও আমি যাইনি।'
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছিল কি না, এই নিয়েও মুখ খুলেছেন নির্মল। বলেছেন যে, সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠক হয়নি। সেদিন সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিরোধীদের নিশানা করে বিধায়ক বলেন, 'মানুষের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারবে না তাই তারা মমতার পদত্যাগ চাইছে। ভোটে কংগ্রেস, সিপিএম শেষ হয়ে গেছে। বিজেপি মাত্র ক'টা আসন পেয়েছে। সাধারণ মানুষ বিচার চাইছে। আর সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি চলে গেছে চেয়ারের পিছনে।'