নিউটাউনের রেস্তরাঁ মালিককে লাথি-ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে বাংলা ছবির নায়ক তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এবার আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতের দ্বারস্থ হলেন সোহম। সূত্রের খবর, আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছেন তারকা বিধায়ক। আদালতে ঢোকার সময় সোহম বলেন, 'এখন কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি বিচারাধীন।'
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের এক রেস্তরাঁয় শুটিং করছিলেন সোহম। অভিযোগ, সেই সময়ই রেস্তরাঁর সামনে শুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাধে রেস্তরাঁ মালিকের। এই সময়ই রেস্তরাঁ মালিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে সোহমের বিরুদ্ধে। সোহম তাঁকে লাথি-ঘুষি মারেন বলেও অভিযোগ করেছেন রেস্তরাঁর মালিক। মারধরের ভিডিয়ো সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।
মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে সোহম সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, 'অভিষেককে নিয়ে গালাগালি করেছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। চড় মেরেছি। ধাক্কা দিয়েছি। অভিনেতারাও মানুষ। আমাদেরও আবেগ রয়েছে।' পরে এই ঘটনায় ক্ষমা চান সোহম।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেস্তরাঁর মালিক। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় সোহমের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাঁর মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন।
সোহমের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূলর ৩ তারকা জনপ্রতিনিধি। এই ঘটনায় সোহমের পাশে দাঁড়াননি ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা সুপারস্টার দেব। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ও বলেছেন, 'এটা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে ও তো ক্ষমা চেয়েছে। মানুষের উচিত ক্ষমা করে দেওয়া।' এই প্রসঙ্গে সদ্য হুগলি থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'যা ঘটেছে সেটা ভাল ঘটেনি। তবে কিসের আঙ্গিকে এটা ঘটেছে, সেটা সোহম বলতে পারবে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সুতরাং বলতে পারব না।'
অন্য দিকে, মঙ্গলবার প্রথমে সোহমের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অবস্থান বদলে মদন বলেন, 'সোহম যেটা করেছে ঠিক করেনি।'