রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ রাজ্যের শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে, জওহর সরকারকে প্রার্থী করা হচ্ছে। তিনি দীর্ঘদিন জনসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রসার ভারতীর CEO ছিলেন তিনি।
আজ ট্যুইটবার্তায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, আমরা অনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, 'জওহর সরকারকে রাজ্যসভার প্রার্থী মনোনীত করছি। তিনি ৪২ বছর সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন। ছিলেন প্রসার ভারতীর CEO। রাজ্যসভায় তাঁর যোগদান মানুষের কাজে দেবে বলে আমরা আশাবাদী।'
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মমতা সরকারের টানাপড়েনের সময়, আলাপনেরই পক্ষ নিয়েছিলেন জহওর সরকার।
আরও পড়ুন : VIDEO: 'জয় শ্রীরাম' বলায় BJP কর্মীকে মার TMC-র, অভিযোগ
বাংলায় রাজ্যসভার একটি আসনে উপনির্বাচন হবে ৯ আগস্ট। তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিয়েছিলেন। ফলে ওই আসনটি ফাঁকা রয়েছে। তার নির্বাচন হবে ৯ আগস্ট। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে, নির্দেশ কমিশনের।
দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি। তাঁর বক্তব্য ছিল, দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই তিনি দল ছাড়ছেন। তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। অধিবেশন চলার সময় তিনি ইস্তফা দেন।
এদিন নির্বাচন কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২২ জুলাই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাস করতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হল ২৯ জুলাই। মনোনয়নপত্র যাচাই করে দেখা হবে ৩০ জুলাই।
কমিশন আরও জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন ২ আগস্ট। ভোট নেওয়া হবে ৯ আগস্ট। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে।
করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি জিনিসের ওপর জোর দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, ভোটের কাজে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। হল, ঘরে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্যানিং করতে হবে। সব জায়গায় স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
কমিশন আরও জানিয়েছে, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। এই বিষয়গুলি যাতে মেনে চলা হয়, তা দেখতে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি যাতে এক সিনিয়র অফিসারকে এই ভার দেন।