শুক্রবার সকাল থেকে বিস্তর তল্লাশির পর বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই। মিলেছে একাধিক পিস্তল-রিভলভার। বোমা উদ্ধার করতে শুক্রবার নামানো হয়েছিল এনএসজি। আর সেই অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশের ওপরেই দায় চাপাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের একটা অংশ। তাঁদের দাবি, অস্ত্র যদি কেউ রেখেও থাকে, তাহলে তা দেখা পুলিশের উচিত ছিল। শুক্রবারই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন,'অস্ত্র কারা রেখে গেল, সেটা দেখতে হবে। নাটকীয়তা কারা করতে চায় সেদিকেও নজর দিতে হবে। পুলিশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের নজরে থাকা উচিত ছিল। যারাই ঢুকিয়ে থাকুক, পুলিশের তো আগেই বের করা উচিত ছিল'
এবার একই সুর শোনা গেল তৃণমূল নেতা সৌগর রায়ের মুখেও। দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় শনিবার প্রচারে বেরিয়ে সন্দেশখালি বলেন, 'যেই অস্ত্র রাখুক না কেন, বেআইনি অস্ত্র ধরা তো পুলিশেরই কাজ। এটা পুলিশের অপদার্থতা। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকছে বাংলায়।' বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার ওই বক্তব্যে শাসকদলই বিপাকে পড়ল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এর আগেও সন্দেশখালি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন সৌগত। তাঁর দাবি ছিল, 'সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর কোনও অত্যাচার হয়নি। অত্যাচারের কোনও প্রমাণ নেই।'
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সৌগত রায়কে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। দমদমের সাংসদ বলেন, 'সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে প্রমাণ থাকত। যদি কিছু ঘটেও থাকে, সেক্ষেত্রে মমতার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শাহজাহান, শিবু, উত্তমদের রাজ্য পুলিশই গ্রেপ্তার করেছে। সিবিআই বা ইডি নয়।'