কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে তৃণমূলের জয়। বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুরে ফুটল ঘাসফুল। রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে শুরু জোর চর্চা। তবে কি এটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির শক্তি কমার ইঙ্গিত।
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। বলেন, 'পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একমাত্র বিধানসভা আসন বাদে বাকি সব আসনেই লোকসভায় তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে।' তবে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিঃসন্দেহে বিজেপির মনোবল নড়িয়ে দিতে পারে।
কিন্তু একটি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট নিয়ে এত উত্তেজনা কেন?
উল্লেখ্য, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক, পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম সমবায় ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে স্থানীয় স্তরে এই সমবায় ব্যাঙ্কের প্রভাব রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে এই ব্যাঙ্কের ভোট নিয়ে টানাটানি চলছিল। ব্যাঙ্কের পরিচালনা কমিটির নিয়ন্ত্রণে এলে তা স্থানীয় স্তরে প্রভাব, শক্তি বিস্তারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে প্রায় তিন বছর নির্বাচন হয়নি। ফলে এবাের উত্তেজনা ছিল আরও বেশি। শুভেন্দু অধিকারীর 'গড়ে' তৃণমূলের এই জয় রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুধু তাই নয়, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা সমাজের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অংশের মূল চালিকাশক্তি। ফলে এই নির্বাচনের প্রভাব আগামিদিনে বিধানসভা নির্বাচনেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তৃণমূলের এই জয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কৌশলকেই উল্লেখ করা হচ্ছে। ছোট ভোট বলে উপেক্ষা না করে উল্টে এটা নিয়েই ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।দলের সব বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রত্যেকে নিজেদের এলাকায় জোরকদমে প্রচার চালান। সম্ভবত তাতেই মিলেছে সাফল্য।