ফের দিঘা ঘুরতে গিয়ে স্নান করতে নেমে পর্যটকের মত্যু। সপ্তাহান্তের ছুটিতে দিঘা ঘুরতে গিয়েছিলেন রতন সামন্ত (৪৭)। নেমেছিলেন স্নান করতে। আর তাঁর এই স্নান করাই কাল হল। সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া রতনকে পুলিশ–নুলিয়ারা অনেক কষ্টে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। মৃতদেহটি কাঁথি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে দিঘায় আসে ২৫ জনের একটি দল। ৫ বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দলের সঙ্গে আসেন রতনও। আজ, রবিবার তাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে দিঘার জগন্নাথ ঘাটের সমুদ্রে সপরিবারে স্নানে নামেন রতন সামন্ত। সেই সময় আচমকাই তলিয়ে যান রতন সামন্ত নামের ওই পর্যটক। রতনের তলিয়ে যাওয়া দেখে পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্যরা চিৎকার জুড়ে দেন। তখন ছুটে আসেন কর্তব্যরত নুলিয়ারা। দিঘা মোহনা থানার পুলিশ সেখানে হাজির হয়। নিখোঁজ পর্যটকের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এরপরই রতনের দেহ ভেসে ওঠে। তৎক্ষমাৎ দিঘা হাসপাতালে নিয়ে গেলে পর্যটককে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত সৈকত নগরী দিঘা থেকে আসছে একের পর এক এক দুঃসংবাদ। কখনও কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু, কখনও হোটেল মালিকের সঙ্গে বচসা, তো কখনও সুমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া, এযেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। কেউ চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহ খানেক আগে দিঘার উদয়পুরে এমনি স্নান করতে নেমে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। বারংবার এভাবে সমুদ্রে ডুবে পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।