শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেল তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে TMC। তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছে।
আগামী ১৩ নভেম্বর ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সোমবার বিকেলেই প্রচারের শেষ দিন। আর তার আগে তৃণমূলের বিজেপি তথা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ইলেকশন কমিশনে যাওয়া নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
সোমবার সকালে নির্বাচনে কমিশনের দফতরে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা যান। তাঁরাই এই অভিযোগ জমা দেন। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, 'আমরা কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, শুভেন্দুকে সেন্সর করার জন্য। যদিও উপনির্বাচনের প্রচার আজ বিকেলেই শেষ। কিন্তু বিষয়টা শুধু একটা উপনির্বাচনের জন্য নয়। নানা সময়ে বিজেপির নেতারা এধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, বাংলাকে অস্থির করে তোলা ধর্মের ভিত্তিতে। নইলে কেন অযথা বাংলাদেশের হিংসাত্মক পরিস্থিতির তুলনা টানা হচ্ছে? বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কথা বলা যায় না। সেখানে কী হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই।'
এরপরেই বিজেপির ওপর আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, 'আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে যে ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বেঘোরে হারবে। তাই এসব বলছে। আমাদের দাবি, বিরোধী দলনেতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে।'
শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মিছিলের পর জনসভা করেন। তৃণমূলের দাবি, সেই সভামঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী এমন কিছু কথা বলেছেন, যা 'হেট স্পিচ' হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। আর সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল।