কট্টরপন্থীদের লাগাতার মিছিল, স্লোগানে, ভয়ে কাঁপছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। মন্দিরে হামলা, শুকনো ধানের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো বিদ্বেষ এখনও চলছে। তাঁদের ফতোয়া থেকে বাদ যাচ্ছেন না অশীতিপর বৃদ্ধারাও। সেই আতঙ্কেই আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে ঢুকলেন দুই বৃদ্ধা। কীভাবে ভারত-বাংলাদেশের কাঁটা তাঁর পেরিয়ে ভারতে ঢুকলেন তাঁরা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তর দিনাজপুর এলাকার কালিয়াগঞ্জ এলাকার।
সূত্রের খবর, ধৃত দুই বৃদ্ধার নাম আধো বর্মন ও কাঞ্চ বালা। আধো বর্মনের বাড়ি বাংলাদেশের পীরগঞ্জ এলাকায় ও কাঞ্চ বালার বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর এলাকায়। বুধবার তাঁদের রাধিকাপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটক করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
বাংলাদেশি বৃদ্ধা কাঞ্চবালা বলেন, "ওখানে অত্যাচার করে। বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে। হিন্দুদের দেখতে পারছে না। তাই চলে এসেছি। এখানকার পুলিশ ধরলেও আমি শান্তি পেয়েছি।"
এদিকে কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়েই এক বৃদ্ধার ছোট ছেলে সুরেন্দ্র বর্মণ বলেন, "আমি দীর্ঘ বছর এ দেশের বাসিন্দা হলেও। আমার মা এখনও ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দা। ওখানে যেভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাতে আর ও দেশে বসবাস করার ইচ্ছে নেই কারও। প্রতিমুহূর্তে আতঙ্ক। আমাদের একটি মন্দিরে হামলার চেষ্টা হয়েছে। বাড়ির পাশে দিয়ে মিছিল গেলে, স্লোগান হচ্ছে ভারত যাঁদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি। ৭1 সালের পর আবার এই অশান্তি বিদ্বেষ আর মন থেকে আমার মা মেনে নিতে পারেননি। তাই এদেশে চলে আসেন। এরপরই খবর পাই মা আটক হয়েছেন। আটক হলেও এদেশের আসার পর তিনি স্বস্তি পেয়েছেন বলে আমার জানিয়েছেন।"
বৃহস্পতিবার তাঁদের জেলা আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক তাঁদের অবৈধভাবে দেশে অনুপ্রবেশের জন্য ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।