সমুদ্রে স্নান করতে নেমে ফের দুর্ঘটনা মন্দারমণিতে। স্নান করতে নেমে সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন ৩ পর্যটক। ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা কেউই বেঁচে নেই। নিখোঁজ আরও এক পর্যটক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই পর্যটক বর্ধমানের বাসিন্দা। তাঁরা সোমবার মন্দারমণিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃত পর্যটকদের পরিচয় জানা যায়নি। দুপুরে স্নানের সময় আচমকাই তলিয়ে যান ৩ পর্যটক। সঙ্গে সঙ্গে নুলিয়ারা তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন। বেশ কিছু সময় খোঁজ চালিয়ে যাওয়ার পর দু'জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। পরে তাঁদের বড়রংকুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন নুলিয়ারা।
দিঘা, মন্দারমণিতে প্রায় সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। কাছেপিঠে বেড়ানোর জন্য বাঙালির অন্যতম প্রিয় গন্তব্য এই দুই জায়গা। তবে সমুদ্রে স্নান করা নিয়ে প্রশাসনের নানা সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করা হয়। পর্যটকদের বার বার সতর্ক করা হয়। কিন্তু তাতে পর্যটকদের যে কোনও হুঁশ ফেরেনি, তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল।
অতীতে দিঘা, মন্দারমণিতে বহু বার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে অঘটন ঘটেছে। সমুদ্র সৈকতে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। তারপরেও কীভাবে বার বার এই ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
অন্য দিকে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ ধাম। মন্দির নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। মন্দির নির্মাণ কাজ চলার পাশাপাশি দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে রথ নির্মাণের কাজ। পুরীর আদলে দিঘায় একটি জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শুরু হয়। আগামী বছর থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা পালন করা হবে বলে কয়েক দিন আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, 'আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, পুরীর ঐতিহ্যশালী জগন্নাথ মন্দিরের অনুরূপে পশ্চিমবঙ্গে দীঘায় আমরা জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার একটি গর্ব-উদ্দীপক মন্দির তৈরি করছি যেখানে প্রতিবছর রথযাত্রাও পালিত হবে। আগামী বছর থেকেই এই মন্দিরে রথের রশিতে টান পড়বে।' (বানান অপরিবর্তীত)।