scorecardresearch
 

Sandeshkhali Case: 'সন্দেশখালি নিয়ে অভিষেক মিথ্যা বলছেন', আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুর

সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সন্দেশখালিতে অশান্তির জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে 'দায়ী' করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। এই নিয়ে অভিষেককে আক্রমণ করলেন রিজিজু। বললেন, 'অভিষেক মিথ্যা কথা বলছেন। উনি একজন সাংসদ। কলকাতা হাই কোর্ট কেন অপরাধীদের আড়াল করবেন?'

Advertisement
অভিষেককে নিশানা রিজিজুর। অভিষেককে নিশানা রিজিজুর।
হাইলাইটস
  • অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
  • সন্দেশখালিতে অশান্তির জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে 'দায়ী' করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
  • এই নিয়ে অভিষেককে আক্রমণ করলেন রিজিজু।

সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সন্দেশখালিতে অশান্তির জন্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে 'দায়ী' করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। এই নিয়ে অভিষেককে আক্রমণ করলেন রিজিজু। বললেন, 'অভিষেক মিথ্যা কথা বলছেন। উনি একজন সাংসদ। কলকাতা হাই কোর্ট কেন অপরাধীদের আড়াল করবে?'

সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এই প্রসঙ্গে অভিষেক সম্প্রতি দাবি করেছেন, শাহজাহানের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে অন্তরায় আদালত। তিনি এ-ও বলেছেন যে, আদালতই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে ফের আদালতের নির্দেশকে দায়ী করেছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, 'গত ৭ ফেব্রুয়ারি (পুলিশি তদন্তে) স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরের দিন, অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই হিংসা, বিক্ষোভ শুরু হয়।' অভিষেকের এই বক্তব্যের পাল্টা সরব হয়ে তাঁকে আক্রমণ করলেন রিজিজু। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন, 'সন্দেশখালি শুধু বাংলার ইস্যু নয়। গোটা দেশের ইস্যু। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।'অন্য দিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, 'আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বাংলা সবচেয়ে নীচে।' মণিপুরে হিংসার প্রসঙ্গ টেনে নির্মলা বলেছেন, 'মণিপুর নিয়ে এত কথা! সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?' এর পাল্টা তৃণমূলের শান্তনু সেন বলেছেন, 'নির্মলাদেবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য এসব বলছেন। মণিপুরে কী হয়েছে, তা ভুলে যাননি কেউ। উন্নাওয়ে কী হয়েছে? মিথ্যাচার করছেন।'

Advertisement

অন্য দিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। শাহজাহান, তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিনদের মতো অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে চিঠিতে মমতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিষ্ণু। মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'সন্দেশখালিতে ৫০ জনেরও বেশি আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ এবং জমি দখলের ঘটনা লজ্জাজনক। এই ধরনের ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছি।আশা করব, মমতাজি ন্যায় বিচার করবেন।' চিঠিতে বিষ্ণু আরও লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আশা করব আপনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবেন। শাহজাহান, সিরাজউদ্দিনদের মতো অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানাচ্ছি।'

আরও পড়ুন

গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে গোলমালের ঘটনার পর থেকেই তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ওই এলাকা। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই নতুন করে তেতে রয়েছে সন্দেশখালি। গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তম, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে। ধৃত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকেও। তবে শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। এত দিন পরও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না, এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী নেতারা।

Advertisement