উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশ্বভারতীতে পড়তে আসা আবাসিক ছাত্রী অনামিকা সিংহের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে ভুয়ো ‘ক্রিপ্টো কারেন্সি’ নিয়ে প্রতারণার যোগ আছে বলে দাবি করলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। ৫ই সেপ্টেম্বর শিল্প সদনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা সিং-এর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল শান্তিনিকেতন থানায়, যা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
১৭ দিনের মধ্যে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আগেই ধরা পড়েছিল। মূল অভিযুক্তকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
অনামিকা সিং-এর মৃত্যুর পেছনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি। পুলিশ জানায়, অনামিকা তার পরিবার, সহপাঠী ও পরিচিতদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন। তিনি সেই টাকা শেয়ারবাজারে খাটিয়ে ডবল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে সেই বিনিয়োগ সফল হয়নি এবং প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে যান। টাকা ফেরত না আসায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি এবং পরিস্থিতির চাপে সুইসাইড করতে বাধ্য হন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এই মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে, এবং তদন্তের মাধ্যমে পুরো ঘটনাটি সামনে নিয়ে এসেছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্ত এখনো চলছে এবং অন্যান্য দিকগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।