বাম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যত কী? আগামিদিনেও কি দুই দল একসঙ্গে নির্বাচনে লড়বে? রবিবার এই প্রশ্নের উত্তরে নবনিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'জোটও যদি হয়, দু'টো রাজনৈতিক দল ধরুন অ্যালায়েন্স করল। কোনও দল কী নিজের দলকে শেষ করে দিতে চায়?'
নতুন সভাপতির এই মন্তব্য়কে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তুঙ্গে। অনেকের প্রশ্ন করছেন, সরাসরি বাম-কংগ্রেসের জোটের ভবিষ্যৎ কেন বললেন না শুভঙ্কর?
শুভঙ্কর যদিও বলেছেন, 'আমি কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে আমি কী চাইব?... আমরা তো ২০২৪-এ বামের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই করেছি। সামনে আমাদের কয়েকটা বাই ইলেকশন আছে। সে তো নির্বাচনের একটা প্রক্রিয়া, একটা পদ্ধতি। কিন্তু আমার দলকে শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় অন্তরায় আছে। লেফ্টের সঙ্গে, বা অন্য় কারও সঙ্গে কেউ যখন অ্যালায়েন্সে যায়, সে তো তখন বলেনি যে তোমার পার্টিকে দূর্বল কর।'
শনিবারই সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শুভঙ্কর সরকার। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসের 'মিশন' প্ল্যান ছকে দিলেন নতুন কংগ্রেস সভাপতি। জানালেন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনই এখন বাংলায় কংগ্রেসের টার্গেট। অন্যদিকে কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী করার চ্যালেঞ্জও গ্রহণ করলেন তিনি।
এদিন শুভঙ্কর সরকার বলেন, 'আমি দলের সমস্ত কর্মীদের একসঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মিশন বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬, এটি একটি মিশন.... এবং আরও একটি মিশন হল আমার সংগঠন। বিধানসভা এবং সংসদে আমাদের কন্ঠ পৌঁছে দিতে, একজন প্রতিনিধির প্রয়োজন এবং সেই প্রতিনিধি সংগঠন থেকেই আসবে...'
তাহলে কংগ্রেসের বিরোধী হিসাবে মূল লড়াইটা কীসের বিরুদ্ধে? তিনি বলেন, 'আমাদের কেন্দ্রে যারা সরকার পরিচালনা করছে, এবং রাজ্য যারা পরিচালনা করছে, তাদের কর্মকান্ড, তাদের সরকার চালানোর পদ্ধতির বিরুদ্ধে কংগ্রেস আওয়াজ তুলছিল, তুলতে থাকবে। তাছাড়াও রাজনীতির উর্ধ্বে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা জাগরণ ঘটেছে।'
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে শুভঙ্করকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেন। রাজনৈতিক মহলে, রাহুল গান্ধীর 'কাছের মানুষ' বলেই পরিচিত শুভঙ্কর সরকার।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। এরপরই অধীর চৌধুরী জানিয়ে দেন, তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের 'অস্থায়ী সভাপতি'। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেও প্রদেশ সভাপতি ছিলেন না। এর ফলে সেই সময় থেকেই অধীরের জায়গায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, শুভঙ্কর সরকার এর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ অগাস্ট সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ও মিজোরাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির স্টেট ইন চার্জের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।