সরকারি স্কুলের স্যার-ম্যাডামরা অনেকেই টিউশনি পড়ান। সেখান থেকে মোটা টাকা আয়ও করেন। অথচ পুরোটাই নিয়মবিরুদ্ধ। এবার সেই নিয়েই কড়া নির্দেশিকা জারি করল পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে টিউশনি পড়ালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল।
কী বলেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ?
কেন এই পদক্ষেপ?
দীর্ঘদিন ধরেই প্রাথমিক শিক্ষকরা বেআইনিভাবে টিউশনি পড়াচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা সরকারি আইন অমান্য করছেন। বহু ক্ষেত্রে সেই স্কুলেরই পড়ুয়ারা গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে শিক্ষকের বাড়িতে। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে স্কুল টিচারদের টিউশনি করা যাবে না।
খুশি গৃহশিক্ষকরা
পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এর আগেই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের পরেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তাঁদের তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
গৃহশিক্ষক সংগঠনের দাবি, এই নির্দেশিকা কার্যকর হলে বহু প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যাবে। এর পাশাপাশি তাঁরা দাবি তুলছেন যে, মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্যও একই নির্দেশিকা জারি করা উচিত।
ফুল টাইম টিউটররা বলছেন, সরকারি স্কুল টিচাররা এমনিতেই ভাল বেতনের স্থায়ী সরকারি চাকরি করেন। তাছাড়া স্কুলে পড়ানোয় পড়ুয়াদের মধ্যে তাঁদের পরিচিতিও বেশি। ফলে বেশিরভাগ টিউশনি তাঁরাই পেয়ে যান। এর ফলে রুজি-রুটি থেকে বঞ্চিত হন পূর্ণ সময়ের গৃহ শিক্ষকরা।
গৃহশিক্ষকরা বলছেন, শুধু একটি জেলাই নয়, এই নজির সৃষ্টি হলে সমগ্র রাজ্যজুড়েই স্কুল টিচারদের টিউশনি করার প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
আগামিদিনে স্কুল টিচাররা বাড়িতে বা কোচিং সেন্টারে টিউশনি করলে সেখানে হানা দেওয়ারও পরিকল্পনা করছে গৃহশিক্ষক সংগঠন। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।