বাংলায় ভোটের দামামা বাজতেই শুরু হয়েছে দলবদলের পালা। মমতা শিবিরে ভাঙন ধরেছিল ৬ থেকে ৭ বছর আগেই। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফাটলকে আরও চওড়া হতেই দেখা গেল। যদিও এর নেপথ্যে তৃণমূল এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, "এখন ২-৩ জনকে নিয়ে কথা হচ্ছে তৃণমূলে। কিন্তু তৃণমূলের নিম্মস্তরের কর্মীরাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। বিজেপির সমাবেশে অংশ নিচ্ছে। বিভিন্ন সভাতেও যেতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।"
যদিও ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূলের মত দল নয়, এমনটাই জানালেন শমীক। তিনি বলেন, "এটি বিজেপি, এখানে আমাদের সব কিছুর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। কে কী করবে তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের। তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এখানে আমাদের ব্যক্তিগত মতামত নেই।"
এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শমীকের কটাক্ষ, "আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শহীদ হতে দেব না। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হোক, প্রকৃতির নিয়ম মেনে এটাই আমরা চাই। মানুষ এখন আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তাঁরা সরকারও ছেড়ে দিতে চাইছে।"
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে রাজ্যের অনেক হেভিওয়েট নেতা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে দিয়েছেন। মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো ছায়াসঙ্গীরা সরে আসতেই ধাক্কা লেগেছিল তৃণমূলের শিকড়ে। লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী গেরুয়া হাওয়ায় এবার টালমাটাল ঘাসফুল। শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্তের মতো নেতারা ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু মমতার কপালে ভাঁজ ফেলছেন আরও আট 'বিদ্রোহী' নেতা।