তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্যই উপনির্বাচনের ৪ কেন্দ্রেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্ব-ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, ওই ৪ কেন্দ্রেই সন্ত্রাস চালিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। সেই কারণে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। যাঁরা BJP-কে ভোট দেয় তাঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি।
এরপরই দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, 'পরিস্থিতি যা তাতে দেখা যাচ্ছে এরপর কোনও ভোট হলে তৃণমূল ১০০ শতাংশ ভোট পাবে। তৃণমূল বরাবর চেয়েছে, বিরোধী শূন্য রাজনীতি। এবার তারা সেই দিকেই এগোচ্ছে। যেভাবে সন্ত্রাস করছে, তাতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে ভয় পাচ্ছে।'
আরও পড়ুন : 'মানুষের জয়, হিংসার পরাজয়', ৪ প্রার্থীকে জয়ের শুভেচ্ছা মমতার
এদিন দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা, এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল বের হয়। দেখা যায় শান্তিপুর ছাড়া সব কেন্দ্রেই জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। এত বিপুল ব্যবধানে পরাজয় কেন ? দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দিনহাটা, গোসাবায় কোনওরকম প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের দিনহাটায় আমাদের প্রার্থী ভোট দিতে পারেননি। দিনহাটাতে কোনও গাড়ি, হোটেল, মাইক দেওয়া হয়নি আমাদের। গোসাবায় কোনও দ্বীপে পৌঁছতে পারিনি। ভবিষ্যতে নির্বাচনের পরিস্থিতি কতটা থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।'
আরও পড়ুন : কালীপুজোয় জোড়া বুর্জ খলিফায় সাজছে বর্ধমান, দেখুন
নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্রেও হেরেছে বিজেপি। তা নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, 'নিশীথ প্রামাণিকের বুথটা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়। নিশীথ তো গিয়ে বুথ পাহারা দেননি। এই ভাবে আমার বুথে ভোট হলেও আমি কম ভোট পেতাম।'
দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। রাজ্যে সন্ত্রাস চলেছে। ভোটের আগে ও পরে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনের আগে ও পরে যে সন্ত্রাস হয়েছে, তাতে অনেক কর্মীরাই বলেছিলেন এই পরিস্থিতিতে যেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া না হয়। কিন্তু, তারপরও আমরা ভোটে অংশ নিয়েছি।'
আরও পড়ুন : দেখুন ৫৪০ ভরি সোনার গয়না, মা কালীকে পরাবেন অনুব্রত
বিজেপির আর এক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এই রাজ্যে ভোটের পরিবেশ বজায় রাখছে না তৃণমূল। বামেরা সায়েন্টফিক রিগিং করত। আর এরা পুরোটাই রিগিং করে। তবে বুথ জ্যাম বা ছাপ্পার কথা আমরা বলছি না। এরা যে রিগিংটা করে তা হলে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে। ভোটের সময় প্রশাসনকে ব্যবহার করে। মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় না। সব্বাইকে হুমকি দেয়। আমার মনে হয়, ভোট মেশিনারির অপপ্রয়োগ করছে রাজ্যের শাসকদল। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে ভোট করানো হচ্ছে।'