প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বকেয়ার দাবি জানাতে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আগামী ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনও এক দিন সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার মমতা বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে ভাল। না হলে যা করার করব।'
১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে সরব তৃণমূল। গত অক্টোবরের শুরুতে বকেয়ার দাবিতে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে অভিষেক-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাক্ষাৎ না করেই বাড়ি চলে যান বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। যা ঘিরে দিল্লিতে কৃষি ভবনে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। অবস্থানে বসে পড়েছিলেন অভিষেক-সহ তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রীরা। শেষে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে বার করে দিল্লি পুলিশ। আটকও করা হয় অভিষেকদের। যা ঘিরে সরগরম হয় রাজনীতির ময়দান। সম্প্রতি লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনেও বকেয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর পরামর্শ ছিল, বকেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন মুখ্যমন্ত্রী। শেষমেশ, এ বার বকেয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মমতা।
শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, '১৮, ১৯, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনও এক দিন সময় চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। যদি সময় দেন ভাল, না হলে যা করার করব। আমি দিল্লি যাচ্ছি ১৭ তারিখ সন্ধ্যায়।' তাঁর সঙ্গে কয়েক জন সাংসদও দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, '১০০ দিনের কাজে বকেয়া রয়েছে। আমাদের টাকা আটকে রয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যে ভাগের টাকা, সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের প্রাপ্য টাকা এটা।' লোকসভা নির্বাচনের আগে বকেয়ার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হলে তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।