মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে কীভাবে পড়ে গেলেন? কে তাঁকে ধাক্কা মারলেন পিছন থেকে? এই প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কপাল এবং নাকে সেলাই পড়েছে। সূত্রের খবর, আগের থেকে ভাল রয়েছেন মমতা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হবে। কালীঘাটে মমতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গতকাল এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'পিছন থেকে ধাক্কা মারার জন্য পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।' এই বয়ান ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও পরে এসএসকেএমের ডিরেক্টর ব্যাখ্যা দেন, 'শারীরিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে পিছন থেকে কেউ ধাক্কা মেরেছেন, এটা বলতে চাইনি। আসলে পড়ে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছিল, তিনি কোনও ধাক্কা খেয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেক সময় এরকম মনে হয়ে থাকতে পারে।' যদিও 'পিছন থেকে ধাক্কা মারা' মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কারা ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কীভাবে পড়ে গেলেন মমতা, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, আগের থেকে ভাল রয়েছেন মমতা। আজ ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সবসময় আঁটসাঁট থাকে। যদিও এর আগে এক ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ধরে মমতার বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। পরে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবারের ঘটনাতেও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর রক্তাক্ত কপালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল। সেই সূত্রেই জানা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রী আঘাত পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের গাড়িতে করে এসএসকেএমে নিয়ে যান অভিষেক। ছুটে যান তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর কপাল, নাকে সেলাই পড়েছে। গতরাতে নিজের গাড়িতে চড়েই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে স্বভাবতই ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরোগ্য কামনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মমতার আরোগ্য কামনা করেছেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বলেছেন, 'এটা কীভাবে হল, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। তিনি আঘাত পেয়েছেন। আমরা চাই উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আগে সুস্থ হতে দিন। বাড়িতে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা উচিত।'