ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ দেশের নতুন তিন অপরাধমূলক আইন নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা জানিয়ে আসছে বাংলার তৃণমূল সরকার। এবার এই তিন আইন খতিয়ে দেখতে বিশেষ কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের নতুন ওই তিন আইন পর্যালোচনা করে দেখবে এই কমিটি।
কমিটিতে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়। রয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি, ইন্সপেক্টর জেনারেল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের এই নতুন তিন আইন নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংসদে এই বিল পেশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধিতা জানিয়ে আসছে বিরোধী শিবির। তিন আইনের বিভিন্ন অংশে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। আইনগুলিকে 'নির্মম এবং অসাংবিধানিক' বলে সরব হয়েছে জোড়াফুল শিবির। এই আইনের বিরোধিতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, তিন আইন নিয়ে রাজ্যের কথায় আমল দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
নতুন তিন আইন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'ন্যায় সংহিতা জানি না কী আইন। চিকিৎসক, সাংবাদিকরা খুব ভয়ে আছেন। এই বিল আনাটাই অন্যায় ছিল। বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে বিলটি পাস করানো হয়। পুলিশ, আইনজীবীরাও জানেন না, নতুন আইনটা কী। এটি সঠিকভাবে প্রশাসন চালাতে সমস্যা করবে। আমাদেরও নিট ও ন্যায় সংহিতা বিলের বিরুদ্ধে বিধানসভা অধিবেশনে বিতর্ক হবে।'
নতুন তিন আইন হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম, ২০২৩। গত ১ জুলাই এই থেকে এই তিন আইন কার্যকর করা হয়েছে। কলকাতার অদূরে নরেন্দ্রপুরে যৌন হেনস্থার ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে রাজ্যে প্রথম এক ব্যক্তিকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়। নিজের কন্যাকে হেনস্থার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে নয়া আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়।