আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার শুনানিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সেই ডেডলাইন মানেননি আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এখনও কর্মবিরতি চলছে। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী কত জন জুনিয়র ডাক্তার কাজ শুরু করেছেন, তা জানতে চেয়ে এবার রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিঠি দিল স্বাস্থ্য দফতর।
অন্য দিকে, গত ৩ দিন ধরে স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে অবস্থান চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গতকাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ফের বৈঠক ডেকেছে রাজ্য। জুনিয়র চিকিৎসকদের ১৫ জন প্রতিনিধি বৈঠকে থাকতে পারেবেন বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের যে দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে নবান্ন। তবে বৈঠকে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ভিডিয়োগ্রাফি করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারপক্ষ। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের জানানো হয়েছে।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে সমাজের বিভিন্ন মহল। রোজই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। গত ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
অন্য দিকে, এদিন কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। সাংবাদিকদের সিনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আছি। ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা আগামী দিনে কর্মবিরতির মতো বড় পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।'
আরজি করের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় সঞ্জয় জানিয়েছে, সে ধর্ষণ-খুন করেনি। সেমিনার হলে মৃতদেহ দেখে পালিয়ে গিয়েছিল। আরজি করের ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। টানা প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপকে।