scorecardresearch
 

West Bengal Loadshedding: রাতভর হাজার হাজার টোটো চার্জের জেরে লোডশেডিং? অভিযানে নামবে বিদ্যুত্‍ পর্ষদ

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা। সেই যন্ত্রণা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলছে লোডশেডিং। রোজই লোডশেডিং হচ্ছে কলকাতা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও লোডশেডিং চলছেই। হাওড়া, হুগলী, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে লোডশেডিং হচ্ছে নিয়ম করে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • তীব্রগরমে ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা।
  • সেই যন্ত্রণা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলছে লোডশেডিং।

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা। সেই যন্ত্রণা ক'য়েকগুণ বাড়িয়ে তুলছে লোডশেডিং। রোজই লোডশেডিং হচ্ছে কলকাতা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও লোডশেডিং চলছে। হাওড়া, হুগলী, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে লোডশেডিং হচ্ছে নিয়ম করে। গরমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ পর্ষদ, এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ, বিদ্যুৎতের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দেদার এসি লাগাচ্ছেন অনেকে। যেকারণে লোড বাড়ছে। পাশাপাশি অসংখ্য টোটো চার্জের কারণে রাতে ব্যাপক লোড পড়ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। টোটো চার্জের জন্য লোডশেডিং হচ্ছে বলেও অভিযোগ অনেকের। 

বিদ্যুৎ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সল্টলেক-নিউটাউনে লোডশেডিংয়ের সমস্যা কমেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বারাসত, ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর, হাওড়া, হুগলিতে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ উঠছে। প্রচুর লোড বেড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো ছোট জেলাতেই ৪৭ শতাংশ লোড বেড়েছে। যেকারণে ভোল্টেজ ডাউন হচ্ছে। তিনি বলেন, 'টোটোর জন্যও প্রচুর চাপ পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য আমরা নজরদারি করতে পারছি না। যারা টোটো চালাচ্ছে তাঁদের জন্য ডোমেস্টিক রেটেই চার্জ দেওয়ার সুবিধা দিয়েছি আমরা। নজরদারির জন্য কিছু রেইডও করেছিলাম। সেখানে কিছু কিছু কেস ধরেছিলাম। ভোটের পর ফের রেইড করা হবে। কোনও অনিয়ম হচ্ছে কী না, তা দেখা হবে।' 

রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই এখন টোটো প্রধান পরিবহণ ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। কাজকর্ম না পেয়ে অনেকেই টোটো চালানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও লকডাউনে অনেকেই ভিনরাজ্যের কাজ ছেড়ে দিয়ে এসে রাজ্যেই কাজ করছেন। তাঁদের একটা বড় অংশই টোটো চালানোকেই পেশা হিসেহে বেছে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

বিভিন্ন জেলার বহু মানুষের অভিযোগ, টোটোয় ছেয়ে গেছে তাঁদের এলাকা। মানুষের থেকে টোটো বেশি চোখে পড়ছে রাস্তায়। বর্ধমান শহরে দিনের বেলায় টোটো প্রধান রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ শয়ে শয়ে টোটো ঢুকে যান চলাচল ব্যহত করছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। ওইসব টোটো রাত হলেই চার্জে বসাচ্ছেন চালকরা। রাতভর চলছে চার্জ। একটা বিরাট চাপ পড়ছে বিদ্যু জোগানের ওপর। কিছু টোটো চালক জানিয়েছেন, তাঁরা রাতে টোটোর ব্যাটারি চার্জে বসিয়ে দেন। সারারাত চার্জ চলে।

Advertisement

জেলায় জেলায় টোটোর দৌরাত্ম্য বাড়ছে বলেও সূত্রের খবর। পরিবহণ দফতর তাতে লাগাম পরাতে পারছে না। শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় অগণিত টোটো চলাচল করে। এমনকি, বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রেও এখন যাতয়াতের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই টোটোই। সেইসব টোটো রাতভর চার্জ বসলে তা বিরাট বিদ্যুতের একটা যোগান টেনে নিচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে বিদ্যু সরবরাহে। কারণ টোটো চালকরা ডোমেস্টিক কানেকশনেই চার্জ করছেন।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কয়েক হাজার টোটো চলাচল করলেও, তাদের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই, নেই কোনও প্লেট নম্বর। টোটো চালানোর জন্য চালকদের কোনও লাইসেন্সও বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগ নিয়েই মফস্‌সল এলাকায় বেড়ে চলেছে টোটোর দৌরাত্ম্য। টোটো বার বার জাতীয় সড়কে উঠে আসায় বেড়েছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

 

Advertisement