নবদ্বীপের ইসকনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ইসকন) এর অন্তর্গত ওই সন্ন্যাসী এক নিরাপত্তা রক্ষীকে যৌন হেনস্থা করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ৩৭৭ (অপ্রাকৃতিক অপরাধ), এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানো) ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সন্ন্যাসীর নাম জগদারতিহা দাস ওরফে জয়ন্ত কুমার সাহা। তিনি নবদ্বীপের মায়াপুরে অবস্থিত ইস্কন মন্দিরের সদর দফতরে প্রধান সমন্বয়কের পদে ছিলেন। অভিযুক্ত সন্ন্যাসী বর্তমানে পলাতক। নির্যাতিতা একজন ২৯ বছর বয়সী নিরাপত্তা রক্ষী। যিনি গত ৬ বছর ধরে ইসকনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, ১৬ জানুয়ারি রাতে তাঁকে অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। প্রহরী বলেছেন যে, সন্ন্যাসী তাঁকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন।
অভিযোগকারী আরও বলেছেন যে, তিনি সন্ন্যাসীর কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাঁর চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষী বলেন, "সে (সন্ন্যাসী) আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে তাঁর সঙ্গে বিকৃত যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছিল। সন্ন্যাসী আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। ঘটনার পর আমি দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম, তাই শেয়ার করতে পারিনি। সেইসঙ্গে চাকরি চলে যাওয়ারও ভয় ছিল।"
অভিযোগকারী বলেছেন যে কয়েকদিন পর যখন তিনি তাঁর কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে ঘটনাটি শেয়ার করেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে, তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর মতে, অভিযুক্ত সন্ন্যাসী একই ইসকন অফিসে কর্মরত আরও চারজনকে যৌন নির্যাতন করেছে।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মায়াপুর ইসকনের সহ-পরিচালকরা একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, অভিযুক্ত সন্ন্যাসী জগদারতিহা দাসকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-পারিবারিক বিবাদের জের, কোচবিহারে শ্বশুরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাল জামাই