West Bengal Panchayat Poll 2023 Result: ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। খুন, জখম, লুঠপাট, ব্যালট বাক্সে আগুন, বাক্স ছিনতাই সহ নানা রক্তক্ষয়িতার মাধ্যমে ভোট সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ১০ জুলাই সোমবার ৬৯৭টি বুথে পুনর্নিবার্চন হয়েছে। সব মিলিয়ে এই কদিনের কর্মযজ্ঞের চূড়ান্ত রিপোর্ট আজ মঙ্গলবার। এদিন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে। রাজ্যে মোট গণনাকেন্দ্র ৩৩৯টি। প্রতি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে থাকেন ৮২ জন সদস্য। সঙ্গে রাজ্য পুলিশও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। গণনাকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও।
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বাংলার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। ৬০ হাজারের বেশি বুথে প্রায় ৭৪ হাজার আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। যদিও আগাম সতর্কতা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও ভোটে অশান্তি ঠেকানো যায়নি। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর উঠে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সদস্য-প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোটার এবং ভোটকর্মীও অশান্তির হাত থেকে রেহাই পায়নি। কেবল ভোটের দিন হিংসায় বলি হয়েছেন ২০ জন। অশান্তি ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে অনেক বুথে পুনর্নির্বাচনও হয়েছে সোমবার। তবে সমস্ত কেন্দ্রেরই একসঙ্গে ফল প্রকাশ হবে আজ।
সব ব্যালট বৈধ নয়
এদিকে ভোট নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ব্যালটবাক্স লুটের অভিযোগও উঠেছে। সে কারণে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপারের বৈধতা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ, ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়া এবং তার পিছনে রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া সেগুলি গণ্য করা হবে না।
কীভাবে হবে গণনা?
সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা (Vote Counting) শুরু হবে। প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরিশেষে জেলা পরিষদের আসনে ভোট গণনা হবে। স্বাভাবিকভাবেই ভোট গণনা সম্পন্ন হতে রাত হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার যদি গণনা শেষ না হয়, তবে গণনার কাজ টানা চলবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। বাকি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে দু’রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও তিন রাউন্ড। প্রতি গণনা কেন্দ্রের জন্য এক জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়া প্রতি জেলায় থাকবেন এক জন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪।