বৃহস্পতিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোট। তার আগে দৈনিক করোনা সংক্রমণে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলায়। এবার সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ১০ হাজার পার করে গেল দৈনিক আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৪ জন। যার ফলে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৫৮ জনের। সেই সঙ্গে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০,৭১০।
স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪৯৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫,৬১৬ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০। রাজ্যে সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮৯.২৩শতাংশ। গতকালও এই সংখ্যাটা ছিল ৮৯.৮২শতাংশ।
রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি শহর কলকাতার। সপ্তম ও অষ্টম দফায় ভোট রয়েছে কলকাতায়।
ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। গত কয়েকদিন ধরেই শহরের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিলোত্তমায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৫৬৮ জন। করোনা কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে প্রাণ কেড়েছে ১৪ জনের। এর পরেই রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা। কলকাতার প্রতিবেশী এই জেলাও এদিন দৈনিক সংক্রমণে দুই হাজারের গণ্ডি টপকালো। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৪৯ জন। তবে বাদবাকি জেলাগুলিতে হাজারের নীচেই রয়েছে সংক্রমণ। যদিও হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা, বীরভূমের মতো জেলাগুলিকে নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে৷ কারণ এই জেলাগুলির কোনওটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে, কোথাও আবার তা পাঁচশো ছুঁইছুঁই৷ এদিন গত কয়েকদিনের মতোই রাজ্যের ২৩টি জেলা থেকেই এসেছে আক্রান্ত হওয়ার খবর।
এদিকে বুধবার দেশে ফের নতুন রেকর্ড গড়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই মহারাষ্ট্রে। পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পঞ্জাব, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিও। ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২,০২৩ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫৩ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন ২১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৩৮ জন।