দিনে দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বাংলার করোনা পরিস্থিতি। সোমবারও যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ছিল প্রায় সাড়ে আট হাজারের কাছাকাছি তা মঙ্গলবার পৌঁছে গেল ১০ হাজারের দোরগোড়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৯,৮১৯ জন। যা দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে বাংলায় এখনও সর্বোচ্চ। সংক্রমণের পাশাপাশি বাংলায় মৃত্যুর সংখ্যাও চিন্তা বাড়াচ্ছে। মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৪৬ জনের। ফলে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৫২।
স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৭২। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪,৮০৫ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষ ৯ হাজার ১৩৪। বর্তমানে বংলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮,৩৮৬। রাজ্যে সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮৯.৮২শতাংশ।
রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি শহর কলকাতার। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় তিলোত্তমায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,২৩৪ জন। করোনা গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে প্রাণ কেড়েছে ১৩ জনের। এর পরেই রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা। কলকাতার প্রতিবেশী এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১,৯০২ জন। তবে বাদবাকি জেলাগুলিতে হাজারের নীচেই রয়েছে সংক্রমণ। যদিও হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা, বীরভূমের মতো জেলাগুলিকে নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে৷ কারণ এই জেলাগুলির কোনওটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে, কোথাও আবার তা পাঁচশো ছুঁইছুঁই৷ এদিন গত কয়েকদিনের মতোই রাজ্যের ২৩টি জেলা থেকেই এসেছে আক্রান্ত হওয়ার খবর।
দেশ ও রাজ্যে যখন বেলাগাম হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি তখন সপ্তাহের প্রথম দিন বড় ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এবার দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগামী ১ মে থেকে এই টিকাকরণ শুরু হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৫৯,১৭০ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ১,৭৬১ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,৫৪,৭৬১ জন ৷