চাষিদের থেকে সরকার ধান কেনা শুরু করেছে। গত ২ নভেম্বর শনিবার থেকে চাষিদের থেকে ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কুইন্টাল প্রতি ধানের দামও বেড়েছে। এখন চাষিরা কুইন্টাল প্রতি ধানের দাম ২ হাজার ৩০০ টাকা পাবেন। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে (সিপিসি) ধান বিক্রি করলে আরও ২০ টাকা উৎসাহ-ভাতা দেয়া হবে। অর্থাৎ চাষিরা পাবেন ২ হাজার ৩২০ টাকা। সিপিসি ছাড়াও সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ফারমার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন থেকেও ধান কেনা হবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ইলেকট্রনিক ওজন পরিমাপ যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস যন্ত্র যুক্ত থাকবে।
একজন কৃষক সারা বছরে মোট ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। ধান বিক্রির টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। ধান বিক্রির তিনদিনের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে যাবেন কৃষকরা। কৃষকবন্ধু পোর্টালে নথিভুক্ত কৃষকরা সরসারি ধান বিক্রি করতে পারবেন। তাঁদের কিছু করার দরকার নেই। শুধু ধান কেনার পোর্টালে গিয়ে ডেট বুকিং করতে হবে। আর যারা এখনও কৃষকবন্ধু পোর্টালে নাম তোলেননি তাঁদের জমি সংক্রান্ত স্ব-ঘোষণাপত্র দিয়ে ধান বিক্রি করতে হবে।
তবে বাটা নিয়ে অনেক চাষির অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধানে বেশি পরিমাণে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। এবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ধান চাষে কয়েকটি জেলায় ক্ষতি হয়েছে। ফলে ধানের ফলন বা গুণগত মানও খুব একটা ভাল হয়নি। তাইচাষিদের আশঙ্কা, কুইন্টাল প্রতি ধান বাদ দেওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারে চালকলগুলি। রাজ্য সরকারের তরফে এনিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। চাষিদের সঠিক গুণমানের ধানই বিক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ধানের গুণমান কীরকম হওয়া উচিত সেটাও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
কীভাবে ধান বিক্রির জন্য ডেট বুকিং করবেন?
প্রথমে আপনাকে https://epaddy.wb.gov.in/schdulenew.aspx লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
এরপর Farmer Self Scheduling এ ক্লিক করুন।
এরপর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও ক্যাপচার কোর্ড বসিয়ে দিয়ে সাবমিট করুন।
রেজিস্ট্রার মোবাইল নাম্বারে OTP আসবে, সেটা দিয়ে লগইন করুন।
এরপর পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে (ছুটির দিন ছাড়া) যে কোনও তারিখ বেছে নিতে পারবেন।
এরপর তারিখ বেছে নিয়ে কৃষককে সাবমিটে ক্লিক করতে হবে।
এবার একটি QR কোড স্লিপ তৈরি হবে, যা ডাউনলোড করা যাবে।
শিডিউলের পর কৃষক নির্দিষ্ট দিনে ধান নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।