কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফর ঘিরে বঙ্গ রাজনীতি ছিল উত্তাল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনায় নয়, প্রধানত বাগযুদ্ধেই সরগরম ছিল পরিস্থিতি। সেই প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট প্রকাশ করে পাল্টা আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, এগিয়ে বাংলাই। যদিও মমতার এই দাবিতে নস্যাৎ করে বিজেপির তরফে এদিন বৈঠকে বলা হয়, "মমতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল চিড়িয়াখানার কী অবস্থা, উনি উত্তর দিলেন তাজমহল কতটা সুন্দর।"
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "অমিত শাহের প্রশ্ন ছিল স্বাধীনতার পর থেকে বাংলার যে এমন হাল কেন? প্রশ্ন কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়, বাম শাসনকে করা হয়েছে। বাংলা থেকে উৎপাদিত কত শতাংশ পণ্য বাইরে যায় সেটা বলতে হবে। রাজ্যের অর্থনীতি যদি মমতার আমলে বৃদ্ধি পায় তাহলে কেন ৭০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে যায় বাংলা থেকে?"
মুখ্যমন্ত্রীর কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নতির হারের প্রসঙ্গ টেনে শমীক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ পড়ুয়ারা মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্গালুরুতে চলে যাচ্ছে? কেন গত কয়েকটি শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আসন খালি যাচ্ছে? এখানে কোনও চাকরি নেই। এ রাজ্যে বিনিয়োগ নেই। যারা বলছে পশ্চিমবঙ্গ সবেতেই এগিয়ে, আর্থসামাজিক অবস্থার এত উন্নতি হয়েছে তাহলে কেন রাজ্যবাসীকে ২ টাকার চাল খেতে হচ্ছে? গুজরাট, মহারাষ্ট্রে বিনিয়োগ অনেক বেশি"।
বিজেপির তরফে এও জানান হয় যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে তথ্য জানিয়েছে তা ভুল নয়। বরং মুখ্যমন্ত্রী ভুল বুঝেছেন এমন অভিযোগই করা হয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "মমতা এফডিআই-এর যে খতিয়ান দিয়েছেন তিনি রাজ্যবাসীকে দেখান কত শতাংশ লগ্নি হয়েছে। কত চাকরি হয়েছে সেখানে? সেই পরিসংখ্যান দিন। কেন গুজরাটের ট্যাক্স কালেকশন বাংলার থেকে বেশি হচ্ছে, সেটা বলতে হবে।"