ইয়াসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত তাজপুরে গিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে অভিষেককে জবাব দিলেন কাঁথির সাংসদ তথা বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী।
আজতক বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, 'অভিষেক যা বলেছেন, সেটা প্রত্যাশিত। লোকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া তৃণমূলে স্বভাব। সেই পথেই হেঁটেছেন অভিষেক।'
আজই তাজপুর পরিদর্শনে যান অভিষেক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরাই অভিষেকের প্রশ্নের উত্তরে জানান, এলাকার বাঁধ করেছিল সেচ দফতর। আর রাস্তা দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তা শুনেই বেজায় চটে যান অভিষেক। তিনি বলেন, 'মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। তদন্ত হবে। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারের জন্য গোটা জেলা কষ্ট পাচ্ছে। এর ফল ওঁদের হাতে-নাতে পেতে হবে। কাউকে ছাড়া হবে না।'
আরও পড়ুন : EXCLUSIVE: বিস্ফোরক শিশির! 'গোটা রাজ্যে ভোটগণনায় কারচুপি হয়েছে'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শিশির বলেন, 'ওঁদেরই তো সরকার। যা আইনি পদক্ষেপ করার করুক। আর আজ যাঁরা অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন, তাঁরাই বাঁধ তৈরির মূল দায়িত্বে ছিলেন। বাঁধ নির্মাণের ঠিকাদারদেরও দেখতে পেলাম। তাঁদেরই জিজ্ঞেস করুন অভিষেক। অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া তৃণমূলের স্বভাব। অভিষেকও সেটাই করেছেন। আমিও চাইছি, তদন্ত হোক। তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।'
অন্যদিকে সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে চিঠিও দিয়েছেন। সেই ইস্যুতে শিশিরবাবু বলেন, 'এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা লোকসভার অধ্যক্ষ নেবেন। আইন মেনেই সব কিছু হবে।'